কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকার সাভারে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সরকারি-বেসরকারি ভবন, দোকানপাট ও বিপণিবিতানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আগুন দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পরিবহনে।
সাভারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রেডিও কলোনি থেকে সাভার বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন পাকিজা এলাকায় সড়ক বিভাজকের বেশ কিছু অংশ সড়কের ওপর পড়ে আছে। থানা স্ট্যান্ড-সংলগ্ন একটি ভবনের নিচে মিষ্টির দোকানের বাইরে পোড়া চিহ্ন। সাভার মডেল মসজিদের অদূরে মহাসড়কের আরিচাগামী সার্ভিস লেনের পাশে ভস্মীভূত হয়ে আছে চারটি বাস, একটি করে ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রোবাস।
সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতরে আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ি, কার্যালয়ের ভেতরে অফিসকক্ষের ভাঙচুর হওয়া আসবাব ও পুড়ে যাওয়া কাগজপত্র ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে ছিল। এ ছাড়া মহাসড়ক–সংলগ্ন বিপণিবিতান সিটি সেন্টারে সামনের অধিকাংশ কাচ ভাঙা। স্মরণিকা এলাকায় স্থানীয় পত্রিকা ফুলকির কার্যালয়ের কাচ ও আসবাব ভাঙচুর অবস্থায় দেখা গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেলে কয়েক শ দুষ্কৃতকারী হামলা করে ফটক ভেঙে কার্যালয়ে চারটি কক্ষে ও গ্যারেজে আগুন দেয়। এ ছাড়া কার্যালয়ের ১৩টি কক্ষ ভাঙচুর করে। রাতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), রেফ্রিজারেটর, ফ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে। এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ বলেন, সাভারে গত কয়েক দিনের ঘটনায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা এসি পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদে ইটপাটকেল ছুড়েছে তারা। উপজেলা পরিষদ ফটকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক, উত্তর বিভাগ) মো. আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যারা আন্দোলনের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙচুর করেছে, লুটপাট করেছে, তারা কেউ ছাত্র নয়। সরকারবিরোধী একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে দুষ্কৃতকারীরা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।