![শিক্ষা জীবন অব্যহত রাখতে চান মীম ও মুন শিক্ষা জীবন অব্যহত রাখতে চান মীম ও মুন](https://www.amaderbarta.net/media/imgAll/2023November/mim-and-moon-2405141446.jpg)
নাটোরের অদম্য মেধাবী ছাত্রী রোকসানা আক্তার মীম ও মোহনা আক্তার মুন এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েও পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে রয়েছেন চরম হতাশায়। পরিবারের অভাব অনটনের কথা চিন্তা করে জিপিএ-৫ পেয়েও তাদের কিশোরী মনে নেই কোনো আনন্দ।
নাটোর সদরের ছাতনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মুনের বাবা জহুরুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকায় সে তার মায়ের সাথে বসবাস করে স্থানীয় পন্ডিতগ্রাম বটতলা মোড়ের মামা আব্দুল আজিজ খলিফার বাড়িতে। মামার বাড়ির এক কোনায় পুরাতন ভাঙা টিন জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে গড়ে তোলা ছোট্ট একটি ঘরে মা মর্জিনা খাতুনের সঙ্গেই তার বসবাস। সেই ঘরে ভাঙা একটি চৌকি ও পড়ার টেবিল ছাড়া নেই আর কোনো আসবাবপত্র। মা নিজে কাজ করে মেয়ের লেখাপড়া খরচের যোগান দেন।
মুন নিজে প্রাইভেট পড়িয়ে কিছুটা টাকা যোগাড় করেন আর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতায় এতদূর আসলেও এখন কিভাবে পড়ালেখা চালাবেন তা নিয়ে চিন্তিত তার মা ও মামা। মুনের ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন আদৌ স্বপ্নই থেকে যাবে কি না তা নিয়ে চিন্তাতেই দিন কাটছে তাদের।
অন্যদিকে সদরের আগদিঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রোকসানা আক্তার মীমের বাবা আব্দুল কুদ্দুস গাজী দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। তিনি কোনো কাজ কর্ম করতে পারেন না। তিন বোনের মধ্যে মীম বড়। মা জরিনা বেগম বিভিন্ন কাজ করে মেয়েকে এতদূর নিয়ে আসলেও এখন আর পারছেন না। তাই টাকার অভাবে মেধাবী মীমকে তার বাবা মা বিয়ে দিয়ে দিতে চান। মীম চায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে তাদের মতো গরীব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে।
মীম বলেন, নিজে এলাকার বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়িয়ে সেই টাকা দিয়ে বই খাতা কলম কিনেছি। ইচ্ছে থাকলেও কখনো ভালো পোশাক পড়িনি। মা তো ঠিক মতো খাবারই জোগাড় করতে পারেন না। এখন বাইরে পাঠিয়ে উচ্চ শিক্ষা দেয়ার সাধ্য তার পরিবারের নেই। মুন ও মীম তাদের শিক্ষা জীবন অব্যাহত রাখতে চান।
তাই সমাজের কোন হৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মুন ও মীমের পাশে দাঁড়ালেই তাদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত থাকতে পারে। নইলে অকালেই ঝরে পড়তে পারে দুটি অদ্যম মেধাবী মুখ।