
বৈরী আবহাওয়ায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশনায় বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে দ্বিতীয় দিনের মতো লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে বরিশাল-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলও।
জেলাজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতার পাশাপাশি সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর আর উপকূলীয় নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে হবে। এদিকে দুই দিনব্যাপী বৃষ্টির কারণে নগরীর বেশিরভাগ সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
শুক্রবার সকালে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কখনো হালাকা আবার কখনও মাঝারি আকারে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আবহাওয়ার পূর্ভাবাস অনুযায়ী ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমন আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে নগরীতে দেখা গেছে, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পানি ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলচল করছেন। বেশিরভাগ সড়ক তুলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে কিছু দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশনায় গত ২৪ ঘন্টা ধরে বরিশাল থেকে
অভ্যন্তরীণ ও ঢাকা বরিশাল নৌ পথের লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রয়েছে জানিয়ে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ২ নম্বর সতর্ক সংকেত ও বৈরি আবহাওয়া থাকার কারণে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেই বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপর রাতে ঢাকা বরিশাল রুটের সব লঞ্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই পরবর্তীতে নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।