চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার তিনদিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ৩১ জনের নামসহ ৪৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবা জামাল উদ্দিন। ১১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন ছোট ভাই। তবে কোনো মামলাতেই আসামি করা হয়নি চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে। হত্যায় সরাসরি জড়িত ৯ জনসহ ৩৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার তিন দিন পর মামলা করল পরিবার। শুক্রবার রাতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন নিহত সাইফুলের বাবা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। এতে অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
এছাড়া, আদালত চত্বরে ভাঙচুর ও আইনজীবীদের ওপর হামলার ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন সাইফুলের ছোট ভাই খান এ আলম। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি ৪০০ জন।
নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফের পিতা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে সরকারের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ। দোষীদের সবার যেন বিচার হয়।’
তবে দুই মামলার কোনোটিতেই আসামি করা হয়নি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে পরিবার।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র রইছ উদ্দিন বলেন, ‘অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন, যেখানে মোট ৩১ জনকে আসামি এবং ১০–১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সাইফুলের ভাই বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
তদন্ত নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে পুলিশ বলছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রইছ উদ্দিন আরো বলেন, ‘পরিবার যে মামলা করেছে সেখানে এজহারে ৭ জনের নাম আছে। এর বাইরে আমরা আরো দুজনকে শনাক্ত করেছি এবং তাদেরও গ্রেফতার করেছি। আমরা মনে করি পুলিশের তদন্ত কাজ পেশাদারিত্বের সঙ্গে চলছে। এজহারের বাইরেও যদি কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তাদেরও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
পরিবারের দুই মামলা ছাড়াও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১৪০০ জনকে আসামি করে আরো ৩টি মামলা করেছে পুলিশ।