
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে কাউকে বাদ দিতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি লাগবে। এমনকি বাদ দিতে হলে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সিদ্ধান্ত দেবে, তাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
অন্যদিকে ব্যাংকে এমডি নিয়োগের আগে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্ম অভিজ্ঞতাসহ প্রস্তাব পাঠাতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে। ব্যাংকের মনোনীত ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কমিটি। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এমডি নিয়োগে অনুমোদন দেবে। গত মঙ্গলবার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগসংক্রান্ত নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, চরম স্খলন বা বিচ্যুতিপূর্ণ কাজ না করলে চুক্তির মেয়াদপূর্তির আগে কাউকে এমডি পদ থেকে অপসারণ বা চুক্তি বাতিল করা যাবে না। কারো চুক্তি বাতিল বা অপসারণ করতে চাইলে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক এরূপ প্রস্তাব অনুমোদন করলে এক মাস পর তা কার্যকর হবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক নাকচ করলে মেয়াদের অবশিষ্ট সময় এমডি স্বপদে বহাল থাকবেন। চুক্তির মেয়াদ শেষের আগে কেউ পদত্যাগ করতে চাইলে পরিচালনা পর্ষদের সুপারিশসহ বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যক্তিগত শুনানির পর যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা কার্যকর হবে।