ঢাকা সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ , ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই যৌন হয়রানির অভিযোগে উৎসাহী নন 

শিক্ষা

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:১৪, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ

পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই যৌন হয়রানির অভিযোগে উৎসাহী নন 

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা, অনিয়মসহ যৌন হয়রানির ঘটনার প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করার মতো উপযুক্ত প্লাটফর্মের অভাব রয়েছে।

অভিযোগকারীর পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই অভিযোগ করতে উৎসাহী হন না। ফলে অব্যবস্থাপনা, অনিয়মসহ যৌন হয়রানির ঘটনারোধ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না। তিনি উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে অভিযোগ প্রতিকারের একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

কমিশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার ৩য় ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা কর্মশালায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইউজিসি অডিটরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরেদৌস জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কমিশনের ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

  ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো অভিযোগ দায়ের হলে তা গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে ব্যক্তি পর্যায়ে কর্মে ও ব্যবহারে উৎকর্ষ অর্জন করতে হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবা প্রদানের মানসিকতা নিয়ে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

 তিনি আরো বলেন, শুদ্ধাচার কর্মকৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যপূরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সকল পর্যায়ে শুদ্ধাচারের চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। সেবাদানের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মানবিক গুণাবলীর উন্নয়ন হচ্ছে কি না তা যাচাই করার ব্যবস্থাও শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত হওয়া উচিত বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।

 সভাপতির বক্তব্যে ড. ফেরেদৌস জামান বলেন, সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। দেশ ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে হলে ব্যক্তি পর্যায় থেকেই পরিবর্তন আনতে হবে। স্ব-স্ব কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

কমিশনের উপসচিব ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট, বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট এবং ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশ নেন । 
 

জনপ্রিয়