মণিরামপুরে গোপালপুর কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপটে নানা অপকর্ম করার অভিযোগ উঠেছে।
ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হজম ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করেন তিনি।
সম্প্র্রতি ছুটির মধ্যেও দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে খাতা কেড়ে নেয়ায় সাবিনা নামের এক শিক্ষার্থী চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী, দায়ী করছেন অধ্যক্ষ রেজাউলকে।
এদিকে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সবশেষ এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও রেজাউলের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই, গত ১৫ বছর ক্ষমতার অপব্যবহার করে দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন তিনি। বর্তমানে যার একটির সভাপতি এবং অপরটির প্রধান তিনি।
ভুক্তভোগী আসাদুল ইসলাম জানান, তিনি সমাজ বিজ্ঞানে নিবন্ধনধারী ছিলেন। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে নেংগুড়াহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে মনোনীত হলে তার কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা চান অধ্যক্ষ রেজাউল।
পরে একই বছরের ২৮ জুন ১০ লাখ এবং পরে আরো ৫ লাখ টাকা দিয়ে ওই স্কুলে যোগদান করতে গেলে নানা অজুহাতে তাকে নেয়নি অধ্যক্ষ।
পরে জানা যায় ভুক্তভোগীকে দেয়া নিয়োগপত্রটি ভুয়া ছিলো।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভু্ক্তভোগী।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে যশোর বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাস জানান, গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্পূর্ণ অনিয়ম করেই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ রেজাউল করিম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষা বোর্ডের মৌখিক অনুমতি নিয়ে তিনি পরীক্ষা নিয়েছেন তিনি। আর এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।