ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

শবে বরাত ও রাসুল (সা.)

মতামত

মাও. মো. মিজানুর রহমান

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সর্বশেষ

শবে বরাত ও রাসুল (সা.)

শবে বরাত একটি ফার্সি শব্দ। এই শব্দের ব্যবহার আরবিতে নেই। তবে হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) বলা হয়। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে কোরআন মাজিদে সরাসরি কোনো নির্দেশনা নেই।

বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ‘আলেমে দ্বীন, সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি, ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রা.) বলেছিলেন, প্রচলিত বিদ’আতগুলোর মধ্যে একটি হলো শাবান মাসের মধ্য ভাগে ‘শবে বরাত’ উদযাপন এবং ওইদিন রোজা পালন করা, যা কিছু সংখ্যক লোক ধর্মের মধ্যে নতুনত্ব চালু করেছে৷ অথচ শরিয়াহতে এর স্বপক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো দলিল নেই।

বিভিন্ন সহিহ হাদিসে বলা হয়েছে, মুহাম্মাদ (সা.) এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা পালন করতেন। শাবান মাসের রোজা ছিলো তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এ মাসের প্রথম থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এবং কখনো কখনো প্রায় পুরো শাবান মাসই তিনি নফল রোজা পালন করতেন। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ মাসে মহান আল্লাহর কাছে মানুষের কর্ম ওঠানো হয়। আর আমি ভালোবাসি যে, আমার রোজা রাখা অবস্থায় আমার আমল ওঠানো হোক।

আবু হুরাইরা বর্ণিত বুখারী ও মুসলিমের হাদিসের বক্তব্য হলো আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ অংশে দুনিয়ার আকাশে আসেন। আর প্রতি রাতের মধ্যে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতও অন্তর্ভুক্ত। অতএব এ হাদিস মতে অন্যান্য রাতের মতো শাবান মাসের পনের তারিখের রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ পৃথিবীর আকাশে আসেন।

লেখক: সহকারী মৌলভী, দৌলতপুর আলিম মাদরাসা, খুলনা

জনপ্রিয়