প্রতি বছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী এসএসসির ফল প্রকাশ করেছেন। এটি আমাদের একটি আলাদা ট্রাডিশন। আমাদের দেশের সরকার প্রধান এই ফল প্রকাশ করেন এবং ফলের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন, পরামর্শ দেন, অনেক বিষয় সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চান। এটা খুবই ভালো দিক।
আগের বছরের মতো এবারও এসএসসি ও সমমানে ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ছাত্রদের পিছিয়ে পড়ার কারণও জানতে চেয়েছেন তিনি। যারা অকৃতকার্য হয়েছেন তাদের প্রতি কোনো ধরনের নেতিবাচক আচরণ না করারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর তিনি ফল প্রকাশের ঘোষণা দেন।
প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণ করে আমরা দেখলাম, এবার সর্বোচ্চ পাসের হার যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ, আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ সিলেট বোর্ডে ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ মানে ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী যশোর বোর্ডের চেয়ে কম পাস করেছেন। যদি একই সিলেবাসে একই সময়ে পরীক্ষা হয়, একই ধরনের শিক্ষকরা পড়িয়ে থাকেন- তাহলে কি কি কারণে দুটি বোর্ডের মধ্যে এমন তারতম্য হয়? আমাদের বোর্ডগুলোর উচিত, বিষয়টি যাচাই করে জাতিকে জানানো।