ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ , ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

আহমদ বশীর’র ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র : দেশকাল ও শিল্পরূপ’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত

বিবিধ

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৫:৪৩, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ

আহমদ বশীর’র ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র : দেশকাল ও শিল্পরূপ’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত

রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ এর অডিটোরিয়াম নুভেল ভাগ-এ সম্প্রতি কথাসাহিত্যিক আহমদ বশীর’র ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র : দেশকাল ও শিল্পরূপ : ১৯৪৭-২০১৭’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ও দ্যু প্রকাশন অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে।

এবং বই সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সমালোচক অনুপম হায়াৎ, কবি, গবেষক ও সম্পাদক ড. কাজল রশীদ শাহীন, চলচ্চিত্র গবেষক ও আলোকচিত্র শিল্পী মীর শামছুল আলম বাবু এবং কবি ও চলচ্চিত্র শিক্ষক সাকিরা পারভীন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ডি ঢাকা’র পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজঁ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দ্যু প্রকাশনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কানিজ ফাতিমা।

অনুষ্ঠানে অনুপম হায়াৎ বলেন, লেখক একজন কথাসাহিত্যিক। তিনি বইয়ে শক্তভাবে তার অ্যাটিচিউডের স্বাক্ষর রেখেছেন। সেটা বইটির সর্বত্র বিদ্যমান। এটাই তাকে আলাদা করেছে।

ড. কাজল রশীদ শাহীন বলেন, বইটির মূল ফোকাস জাতীয় চলচ্চিত্রের দিকে। লেখক তার বইয়ে সে বিষয়ে একটি অধ্যায় যুক্ত করেছেন বিষয়টির গুরুত্ব বোঝানোর জন্য। জাতীয় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমরা নিজেদের ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারি। নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে জেনে বাইরের আগ্রাসনকে উপেক্ষা ও মোকাবেলা করতে পারবো।

মীর শামছুল আলম বাবু বলেন, রূপবান বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বাঁকবদল ঘটিয়েছে। সেটা এক বিরাট ঘটনা। বইটির সবচেয়ে ভালো দিক হলো, বইয়ে উল্লিখিত সবগুলো চলচ্চিত্র লেখক দেখেছেন এবং গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। বইটি পড়লে সেটা ভালোভাবেই বোঝা যায়।

সাকিরা পারভীন বলেন, বইটিতে চলচ্চিত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তিনি প্রথাগত পদ্ধতি প্রয়োগ না করে তার নিজের পদ্ধতি-পর্যবেক্ষণ অনুসরণ করেছেন। তাই সবার সাথে লেখকের মতামত নাও মিলতে পারে। কিন্তু বইটি পাঠ করা জরুরি।

কানিজ ফাতিমা বলেন, এটি অকাট্য ইতিহাসের বই নয়। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অমসৃণ যাত্রাপথের বস্তুনিষ্ঠ বয়ান। যে বয়ান এক চলচ্চিত্রপ্রেমী কথাসাহিত্যিকের। প্রচারবিমুখ কথাসাহিত্যিক আহমদ বশীরকে আমরা এই বইটির মাধ্যমে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন মেজাজে দেখতে পাই। তাঁর দেখার দৃষ্টিভঙ্গি সমালোচকের নয়, বরং একজন সাধারণ দর্শকের। যারা পকেটের পয়সা খরচ করে সিনেমা দেখে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে আজকের পর্যায়ে এনেছেন। তাঁর বইটি প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

আমন্ত্রিত আলোচকবৃন্দের বক্ত্যের পর আলোচ্য বইটির লেখক আহমদ বশীর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি তাঁর শৈশবরে সিনেমা দর্শনের স্মৃতিচারণ করেন। একইসাথে বইটি রচনার প্রেক্ষপট বর্ণনা করেন।

এরপর উন্মুক্ত প্রশ্নত্তোর পর্বে দর্শকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন লেখক আহমদ বশীর। প্রশ্নত্তোর পর্বে অংশগ্রহণ করেন, কবি ও সাংবাদিক ইমরান মাহফুজ, চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও লেখক মোমিন রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে লেখক আহমদ বশীর এর অনুবাদে ফরাসি ঔপন্যাসিক জুল ভার্নের বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস ‘আশি দিনে পৃথিবী ভ্রমণ’ বইটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। সদ্য প্রকাশিত বইটির প্রকাশকও দ্যু প্রকাশন। জানা যায়, ১৯৮৭ সালে বইটি বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, আহমদ বশীর বাংলাদেশের একজন সমসাময়িক ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচটি উপন্যাস, কয়েকটি ছোটগল্পের সংকলন এবং শিশুতোষ বই রচনা করেছেন। দেশের মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-যন্ত্রণা, উদ্বেগ, আবেগ এবং কষ্টের বর্ণনা তাঁর কথাসাহিত্যগুলির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর “বাংলাদেশের চলচ্চিত্র :

দেশকাল ও শিল্পরূপ : ১৯৪৭-২০১৭” বইয়ে তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশকে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রের প্রভাবকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন। এখানে তিনি দেশের চলচ্চিত্রের কালানুক্রমিক বিকাশ বর্ণনা করে, গত কয়েক দশকে মাধ্যমটি যে সামাজিক প্রেক্ষাপট ধারণ করেছে এবং সামগ্রিকভাবে জাতীয় সংহতি ও মূল্যবোধ সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে–তার বুদ্ধিবৃত্তিক অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

জনপ্রিয়