আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খুব বকবক করছেন, বেশি কথা বলছেন, মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য উনার খুব মায়া কান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়া কান্না করে, ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম। তিনি (ওবায়দুল কাদের) মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ, বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে- এটা চাপা দেয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-ঊন-নবী-খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ সকল রাজবন্দীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালি কলসি বাজে বেশি। আপনাদের আওয়ামী লীগ খালি কলসি। তাই আপনারা বাজছেন বেশি করে।
আওয়ামী লীগের জনসমর্থন নেই দাবি করে রিজভী বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা, জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেয়ার কারণে তাদের (আওয়ামী লীগ) জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণখেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে রেখেছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করে, তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। এই সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নেই। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে।
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সেজন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর তো ২০ থেকে ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছে। তারা যদি দাঁড়াতে পারেন তাহলে আমরা বাদ যাব কেন?
তিনি আরো বলেন, এই নির্বাচনে জনগণ যাবে না। আর অন্য কেউ নির্বাচনে সুযোগ পাবে না। কারণ অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন এবং ব্যবসায়ীরা মনোনয়ন কিনছেন। দলের সংকট হলে তারা তো থাকবে না। কিন্তু তারাই এখন দখল করে আছে। ওবায়দুল কাদের আপনার দল যে শূন্য মুড়ির টিন হয়ে গেছে, ওটা আগে ঠিক করেন, তারপরে বিএনপির কথা বলুন। বিএনপি দুর্বল না কি হতাশ, এটা তো টের পান প্রতি মুহূর্তে। বিএনপিকে মোকাবিলা করার সাহস আওয়ামী লীগের নেই। এজন্য পুলিশ দিয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণকে দমন করে জনগণের গলায় রশি দিয়ে আজ কথা বলছেন। জনগণকে যা দেখিয়েছেন, যা বলেছেন সব মিথ্যা। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু দেখান, এবার বাজেটে লক্ষ কোটি টাকার ঋণ চাচ্ছেন কেন? জনগণের গলায় পাড়া দিয়ে বিদ্যুতের বিল, গ্যাসের বিল, পানির বিল বাড়াচ্ছেন কেন?