ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী বিপ্লবী লীলা নাগের জন্মদিন আজ। লীলাবতী নাগ, লীলা নাগ বা লীলা রায় তিন নামেই তিনি পরিচিত।
লীলা নাগ ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে ব্রিটিশ ভারতের আসামের গোয়ালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গিরীশচন্দ্র নাগ আসাম সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সুবাধে চাকরি সূত্রে লীলা নাগের পরিবার আসামের বাসিন্দা হয়। তার মা কুঞ্জলতা নাগ ছিলেন গৃহিণী।
১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে আসামের দেওগর বিদ্যালয়ে লীলা নাগের শিক্ষা জীবনের শুরু। সেখানে দুবছর অধ্যয়নের পর ভর্তি হন কলকাতার ব্রাহ্ম গার্লস স্কুলে। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার ইডেন হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে ওই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে লীলা নাগের পিতা গিরীশচন্দ্র নাগ চাকরি হতে অবসর গ্রহণের পর স্থায়ীভাবে সপরিবারে বাংলাদেশে চলে আসেন। তবে ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর লীলা নাগ উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য কলকাতার বেথুন কলেজে ভর্তি হন।
১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে লীলা নাগ মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে বিএ পাস করেন এবং পদ্মাবতী স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। ওই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করেন। সে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষা অর্থাৎ সহশিক্ষা চালু ছিলো না।[inside-ad-1]
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্কালীন ভাইস চ্যান্সেলর ড. রবার্ট হার্টস লীলা নাগের মেধার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হিসেবে ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্স শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ দেন। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে লীলা নাগ বিপ্লবী অমিত রায়কে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর তার নাম হয় শ্রীমতি লীলাবতী রায় যিনি লীলা রায় নামে সমধিক পরিচিত।
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুন ভারত উপমহাদেশের এই মহীয়সী নারী কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।