
দিনাজপুরে পিতাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে ফাঁসি দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলো। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাঞ্জারাম রায় দিনাজপুর সদর উপজেলার আমইর গ্রামের বঙ্কিমচন্দ্র রায় ওরফে বনরামরায়ের বড় ছেলে।
দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
আদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে আসামি বাঞ্জারাম রায়কে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দড়ি গলায় ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হোক। আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ বা গ্রেপ্তারের তারিখে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে সাজা কার্যকর করা হবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, একমাত্র আসামি বাঞ্জারাম রায় ও তার পিতা বঙ্কিমচন্দ্র রায় ওরফে বনরাম রায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন বিবাদ ছিলো। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ আনুমানিক রাত ৯টার সময় ভিকটিম বঙ্কিমচন্দ্র রায় রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে আসা মাত্রই তার ছেলে আসামি বাঞ্জারাম রায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিতা বঙ্কিমচন্দ্র রায় ওরফে বনরাম রায়ের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন। তার চিৎকার শুনে ছোট ছেলে নোহারাম রায় বঙ্কিমচন্দ্র রায়কে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তাকেও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা বঙ্কিমচন্দ্র রায় ও ছোট ছেলে নোহারাম রায়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিতা বঙ্কিমচন্দ্র রায় মারা যাযন। পরে ছোট ছেলের স্ত্রী কুমুতি রানী রায় বাদী হয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। পিপি অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি জানান, এই রায়ে রাষ্ট্র পক্ষ সন্তুষ্ট হয়েছে। একাধিক স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় দেন।