![কৃষি যান্ত্রিকীকরণে খরচ কমেছে কৃষকদের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে খরচ কমেছে কৃষকদের](https://www.amaderbarta.net/media/imgAll/2022December/-যান্ত্রিকীকরণে-খরচ-কমেছে-কৃষকদের-2303240846.jpg)
কৃষিকে যান্ত্রিকীকরনের সুফল পাচ্ছে দৌলতপুরের কৃষক সমাজ। কৃষি যান্ত্রিকীকরনের ফলে, ক্ষেতের ফসল ঘরে তুলতে একদিকে খরচ অনেক কমে এসেছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে চাষীরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় শতাধিক কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে।
বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক জনির উদ্দিন জানান, একবিঘা জমির গম কাটা ও মাড়াইয়ে তিন ভাগের এক ভাগ গড় হিসাবে (বিঘা প্রতি ১৫ মণ হলে ৫ মণ) মাড়াই শ্রমিকরা নিয়ে যেত। যার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ৭/৮ হাজার টাকা। অথচ বর্তমানে মাত্র দেড় থেকে ১৮‘শ টাকায় আধা ঘন্টার মধ্যে হারভেস্টার মেশিনে কাটা ও মাড়াই করা সম্ভব হচ্ছে।
উপজেলার হোগলবাড়ীয়া গ্রামের হারভেস্টার মেশিন মালিক মনিরুল ইসলাম জানান, একবিঘা জমির গম কাটা ও মাড়াইয়ে সর্বোচ্চ ২০ মিনিটের মধ্যে কৃষকের ঘরে পৌছে যাচ্ছে।
সাদিপুর গ্রামের কৃষক আমিনুল জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে গম চাষ করেছিলেন। পাকা গম কাটা নিয়ে তিনি দুঃচিন্তায় ছিলেন। পাশের জমিতে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াই দেখে তিনি স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেন। মাত্র ১৮‘শ টাকায় তিনি তার জমির আবাদি গম কাটা ও মাড়াই সম্পন্ন হওয়ায় তিনি বেশ সন্তষ্ট।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৮‘শ ১০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভাল হওয়ায় কৃষকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, কৃষি যান্ত্রিকী করণে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপের অংশ হিসাবে দৌলতপুর উপজেলায় কৃষকদের এ পর্যন্ত ৩৫ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্রয়ে ভুর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। যা কৃষি কাজে গতি বৃদ্ধি করায় কৃষির উন্নতিতে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখছে।