
ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙনের মুখে থাকা কুড়িগ্রামের চর ভগপতিপুর সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকটি ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের ভগপতিপুর সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকটি ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলীন হয়। এর আগে ওই এলাকার একটি স্কুলও ভাঙনের শিকার হয়। তাছাড়াও একটি মসজিদ ও একটি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে ব্রহ্মপুত্র নদসহ অন্যান্য নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত। মাসখানেক আগ থেকেই বিভিন্ন নদ নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদ-নদীর বিভিন্ন স্পষ্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাঙনের কবলে পড়ে ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার শত শত বিঘা আবাদি জমি ও অনেক বসতবাড়ি। বিশেষ করে চর ভগপতিপুর এলাকায় গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৪০টি পরিবার ভিটেমাটি হাড়িয়ে নিঃস্ব হয়েছে।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গফুর বলেন, আমার ইউনিয়নটি ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত। বেশিরভাগ এলাকাই চর। যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই বিছিন্ন। চর ভগপতিপুর এলাকার একটি মাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক ছিল, সেটিও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ৩৬টির মত বসতবাড়ি, একটি স্কুল ভাঙনের শিকার হয়।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক চেষ্টা করেও ক্লিনিকটি রক্ষা করা গেলো না। পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসকে বলে প্রায় ৪ হাজার জিও ব্যাগ সেখানে ফেলা হয়েছে। এতোদিন নিয়ন্ত্রণও ছিল, হঠাৎ করেই ক্লিনিকটি ভেঙে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডও অনেক চেষ্টা করলেও ক্লিনিকটি রক্ষা করা যায়নি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ক্লিনিক নদীতে বিলিন হয়েছে শুনেছি। ওই এলাকা ভাঙ্গন রোধে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।