
রুমে জুনিয়র তোলাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে দুই শিক্ষার্থীর মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে হল কর্তৃপক্ষের দাবি জুনিয়র তোলা নিয়ে না, ওই দুই শিক্ষার্থীর অভ্যন্তরীণ ঝামেলা থেকে মারামারির বিষয়টি ঘটেছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হলের টিনশেডের ২০ নাম্বার রুমে এই ঘটনা ঘটে। এতে দুজন আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের দেলোয়ার হোসাইন এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের বায়েজিদ ইসলাম। তারা দুজনেই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, রুমে জুনিয়র তোলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে একে অপরকে কিল-ঘুষি, ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে দেলোয়ারের মাথা ফেটে যায় ও সামনের দাঁত ভেঙে যায়। এতে করে তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আর দাঁতে সমস্যা থাকায় তাকে ডেন্টালে নেয়া হয় বলে জানা গেছে। একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ, বিজয় একাত্তর হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মিনহাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ উঠেছে।
সার্বিক বিষয়ে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম বলেন, আমি ঘটনাটি জানার পর পরই গিয়ে খোঁজ নিয়েছি। জানতে পেরেছি তাঁদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা থেকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগের অপেক্ষায় না থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে হলটির হাউজ টিউটর শরীফুল আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক করে ওই ব্লকের হাউজ টিউটর আনোয়ারুল ইসলাম আজিম ও মারুফ হাসান রুমিকে নিয়ে ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।