
পিরোজপুরে দুই থানার ওসির বিরুদ্ধে চিরকুট লিখে আল মামুন (৪০) নামে থানার এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। বিষপান করার আগে আল মামুন চিরকুটে লিখে রেখে গেছেন- ‘আমি নিরদোশ (নির্দোষ), আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী ইন্দুরকানী থানার ওসি এনামুল হক আর পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবির মো. হোসেন। আমি ইন্দুরকানী থানার ওসির টাকা চুরি করি নাই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ গত সোমবার সকালে পিরোজপুরের সদর থানায় কর্মরত আল মামুন বিষপান করেন। ওই দিন রাতে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আল মামুন জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের আবুল কালাম শেখের ছেলে।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, মামুন মার্চ মাসে এখান থেকে চলে গেছে। তার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নাই, এমনকি আমার থানায় টাকা চুরির কোনো ঘটনা ঘটে নাই। ইন্দুরকানী থাকাকালে ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর স্ত্রী একাধিকবার তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেছিলেন। পরে তিন মাস আগে সে জেলার সদর থানায় বদলি হয়ে যায়।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, থানায় চুরি কিংবা মামুনকে গালমন্দ ও মারধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি।
পিরোজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, মামুনের আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছি। তবে তাকে গালমন্দ কিংবা মারধোরের কোনো বিষয় জানা নাই। এছাড়া এ বিষয়ে কোনো অভিযোগও পায়নি। মামুনের লেখা চিরকূটের বিষয়টি তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেনেছেন। মামুন এ বিষয়ে আগে কখনো তার কাছে কোনো অভিযোগও করে নাই। চিরকূটের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।