আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে সৌদি প্রবাসীরা যেনো দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন— সেজন্য দেশটিতে বাংলাদেশের ব্যাংক শাখা বা অন্ততপক্ষে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা চালু করতে রিয়াদকে অনুরোধ জানানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল-জাদানের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সৌদি আরবে ব্যাংকিং সুবিধা বাড়লে উপকৃত হবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। একদিকে, তারা ব্যাংকিং সেবা পাবেন; অন্যদিকে, বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোও সহজ হবে।
সৌদি আরব বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার হলেও সম্প্রতি এ দেশ থেকে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। এ কারণে ব্যাংকিং সেবা জোরদার করতে বাংলাদেশ এ প্রস্তাব দেবে বলে জানান সংশ্লিষ্টারা।
সৌদি আরবের সর্বশেষ আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, ২৮ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বর্তমানে উপসাগরীয় দেশটিতে কর্মরত রয়েছেন, যা দেশটির প্রবাসী জনসংখ্যার মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৩৭৭ কোটি ডলার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের বিমা কোম্পানি যেনো প্রবাসীদের জন্য জীবন বিমা সুবিধা দিতে পারে, সেজন্য সৌদি আরবের মনিটারি অথরিটিকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ, অথবা বিকল্প উপায় হিসেবে সৌদি আরব কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মতো কোনো সৌদি সংস্থা ও বাংলাদেশের জীবন বীমা কর্পোরেশন মিলে যৌথ উদ্যোগও নিতে পারে।