
আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে চাকরিজীবীদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এই প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক। এতে শাস্তির মুখে পড়বেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুধু তা-ই নয়, বেতন-ভাতা প্রদান বা অনুমোদনকারী কর্মকর্তা পাবেন শাস্তি; গুনতে হবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
এছাড়া সঠিকভাবে উৎসে কর কর্তন না করে এবং যাচাই না করে বিল অনুমোদন করলে বিল অনুমোদনকারী কর্মকর্তাকে জরিমানা আর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র ও উৎসে কর কর্তন করে জমার বিষয়টি নিয়ে দেশের সব কর অঞ্চল কাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলার সব দপ্তর প্রধান, অ্যাকাউন্টস অফিসকে বিষয়টি জানিয়ে এরই মধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে।
কর অফিস থেকে বিষয়টি মনিটরিংও করা হচ্ছে। আয়কর রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করতে চলতি বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশে ১৮৪এ ধারা সংযোজন করা হয়েছে। আবার উৎসে করের ক্ষেত্রেও প্রুভ অব সাবমিশন অব রিটার্ন (পিএসআর) বা আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র ব্যতীত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও বিল অনুমোদন না করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে উৎসে কর থেকে আয়কর লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬০ শতাংশ আদায় হয়। একাধিক কর অঞ্চল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে ৫২টি খাত থেকে এ কর আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার, শিক্ষা প্রকৌশল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বিভিন্ন প্রকল্প থেকে জেলায় সবচেয়ে বেশি উৎসে কর আদায় হয়। ফলে উৎসে কর আদায়ে সব কর অঞ্চল সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে। সঠিকভাবে উৎসে কর আদায় করে জমা দিতে জেলার সব দপ্তর প্রধানদের চিঠি দেয়া হয়েছে।