
আগেই চালু হওয়া বায়োমেট্রিক লগইন এর পাশাপাশি এবার বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ ও ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ এর মাধ্যমে পেমেন্ট ও মোবাইল রিচার্জ করার সুবিধাও চালু হলো বিকাশ অ্যাপে। ফলে, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেন হলো আরো নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও নিরাপদ। এখন ১ হাজার টাকা পর্যন্ত যেকোনো বিকাশ পেমেন্ট ও মোবাইল রিচার্জের ক্ষেত্রে গ্রাহককে আর বার বার পিন বা গোপন নাম্বার দিতে হবে না। ফলে পিন ভুলে যাওয়া কিংবা বেহাত হওয়ার বিড়ম্বনা এড়িয়ে পেমেন্ট ও মোবাইল রিচার্জ করা হলো আরও ঝামেলাহীন, সহজ, তেমনি বাড়লো বিকাশ অ্যাপের নিরাপত্তাও।
গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপের লগইন স্ক্রিন অথবা প্রোফাইল থেকে এই সেবাটি চালু করতে পারবেন। সেবাটি চালু করতে লগইন স্ক্রিন অথবা গ্রাহকের প্রোফাইল থেকে (যদি ইতোমধ্যে লগইন এর জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি চালু না থাকে), বায়োমেট্রিক অপশনে ক্লিক করে পরের ধাপে পিন দিয়ে বায়োমেট্রিক লগইন ও লেনদেন চালু করতে হবে। এরপর থেকে প্রতিবার লগইন ও লেনদেন করতে আর পিন দিতে হবেনা। ডিভাইসে সেট করা ‘ফেস আইডি’ অথবা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ব্যবহার করেই গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপে লগইন ও লেনদেন করতে পারবেন। প্রয়োজনমতো গ্রাহক আবার অ্যাপের প্রোফাইল থেকে ‘ফেস আইডি’ বা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ সেবাটি বন্ধও করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, নতুন কোনো ডিভাইস থেকে লগইন করলে, পিন পরিবর্তন করলে বা অ্যাপ আন-ইন্সটল করলে সেবাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে সেবাটি আবার চালু করতে হবে। এছাড়া, নিরাপত্তার স্বার্থে বায়োমেট্রিক লগইন ও লেনদেন চালু করার এক বছর পর আবার নতুন করে সেবাটি চালু করে নিতে হবে।
বিকাশ অ্যাপ থেকে এই মুহূর্তে গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। গ্রাহক-বান্ধব সেবার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর উদ্ভাবন অব্যাহত রেখেছে বিকাশ।