আসন্ন গুচ্ছ পদ্ধতির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ১৫ হাজারেরও বেশি ভর্তিচ্ছু। বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত এসব ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে হয়রানি ও র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। র্যাগিং প্রতিরোধে আবাসিক হলগুলো মনিটরিংয়ের আওতায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
গত বুধবার দুপুরে প্রক্টরের কার্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা কোনো শিক্ষার্থীকে কেউ কোনোভাবে হয়রানি করতে পারবে না। অনেক সময় ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে আমরা শুনেছি। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। হলগুলোতে র্যাগিং প্রতিরোধে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা যেনো থাকে আমরা সেজন্য কাজ করছি।’
প্রক্টর আরো বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি। পাশের দুই জেলার (কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ) প্রশাসন, পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সময় ক্যাম্পাস নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। তীব্র তাপপ্রবাহে যেন ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের কষ্ট না হয়, সেজন্য অভিভাবক কর্নারের ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তার জন্য প্রক্টরের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ, আনসার, বিএনসিসি ও রোভারের শতাধিক সদস্য পরীক্ষা চলাকালীন কাজ করবেন।’
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভর্তিচ্ছুদের জন্য বিশেষ কক্ষে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে প্রক্টর বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিটি কক্ষে ঘড়ি ও ফ্যানের ব্যবস্থা থাকবে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে। পরীক্ষায় প্রবেশের নির্ধারিত সময়ের পরে কোনো ভর্তিচ্ছু পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।’
এসময় ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন ১৫ হাজার ১০২ ভর্তিচ্ছু। এরমধ্যে ‘ক’ ইউনিটে ছয় হাজার ৪৪২ জন, ‘খ’ ইউনিটে সাত হাজার ২৪৬ জন ও ‘গ’ ইউনিটে এক হাজার ৪১৪ জন।