ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ , ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

বুয়েটে মৌলবাদী তৎপরতায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের উদ্বেগ

শিক্ষা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:০০, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

সর্বশেষ

বুয়েটে মৌলবাদী তৎপরতায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের উদ্বেগ

ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও বুয়েট ক্যাম্পাসে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র শাখার গোপন তৎপরতার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ-৭১।

যুদ্ধাপরাধীদের দায়মুক্তির দাবিতে সোচ্চার এক ব্রিটিশ আইনজীবী পরিচালিত একটি পেজে বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীদের নামে মিথ্যা ও উসকানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার পর গতকাল সোমবার এ বিবৃতি দেয়া হয়। 

বিবৃতিতে মিথ্যা ও উসকানিমূলক তথ্য ছড়ানো বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত সচেতনতার দাবি জানানো হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ওই পেজের অনুষ্ঠানে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফায়াজকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। বুয়েটকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কমিটি দিচ্ছে এমন গুজব ছড়ানো হয় ওই ফেসবুক প্রোফাইল থেকে। এরপরই বুয়েটের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়ে।

এ ছাড়া পেজটিতে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেও উল্লেখ করা হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার কারণে শিবিরের ছুরিকাঘাতের শিকার তন্ময় আহমেদকে নিয়েও এতে উসকানিমূলক তথ্য ছড়াতে দেখা যায়।

কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর নিয়োগ করা যুক্তরাজ্যের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাইকেল পোলাক ওই পেজের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও যিনি যুদ্ধাপরাধীদের বীর বলে অভিহিত করেন। 

বিবৃতিতে যুদ্ধাপরাধ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী তন্ময় আহমেদসহ যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে সোচ্চার মুক্ত চিন্তাবিদদের ওপর হুমকি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

আরো বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের হাতে শহীদ বীর পরিবারের লাখ লাখ সদস্যের চাওয়া ন্যায়বিচারের দাবিকে ভণ্ডুল করতে পোলাক, টবি ক্যাডম্যানসহ আরও অনেক লবিস্টের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধীরা।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ-৭১ এর বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরিদের মহিমান্বিত করার চেষ্টা চলছে। বুয়েটে ক্যাম্পাসে মানবাধিকারের নামে তা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছ। অথচ তাদের বক্তব্য যুদ্ধাপরাধীদের সুরের প্রতিধ্বনি করে যা নিন্দনীয়।

এতে বলা হয়, এই ধরনের কার্যকলাপ একটি সাধারণ সত্যের সাক্ষ্য দেয় যে জামায়াতের ছাত্র শাখা শিবিরসহ বেশ কয়েকটি ফ্রন্ট এখনো যুদ্ধাপরাধ অস্বীকার করার জন্য একটি প্রচারণা চালাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সামনে যুদ্ধাপরাধীদের নির্দোষ দেখানোর চেষ্টা চলছে। ছাত্রদের লক্ষ্য করে ভুল ইতিহাস প্রচারের একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ এটি।

জনপ্রিয়