ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

আঁচিল ওঠার প্রতিকার ও কারণ

লাইফস্টাইল

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:২৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৩

সর্বশেষ

আঁচিল ওঠার প্রতিকার ও কারণ

বয়স ছাড়াও ডায়াবেটিস, সূলতা ইত্যাদি কারণে ত্বকে আঁচিল দেখা দিতে পারে।

ত্বকের বাড়তি নরম দানাদার অংশ দেখা যায় তা আঁচিল নামে পরিচিত।

নারী পুরুষ উভয়েরই মাঝ বয়সে এর দেখা মেলে। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি ঘটে।

টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের চর্মরোগ পরামর্শক ও কসমেটোলজিস্ট ডা স্নেহা ঘুনাওয়াত আঁচিল সৃষ্টির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানান।

● সাধারণত, বার বার ঘষা লাগে বা চাপ খেয়ে থাকে এমন অংশ যেমন- চোখের ওপরে, গলা, বাহুমূল, কুচচি ও কোমড়ে আঁচিল দেখা দেয়।

● এরা সাধারণত ত্বকের রং বা তার চেয়ে সামান্য গাঢ় হয়ে থাকে। এদের দেখতে মসৃণ লাগলেও ভেতরে ফাইব্রোস কোষ, স্নায়ু ও রক্তনালী থাকে।

● আঁচিল নানান আকারের হয়ে থাকে- মি.লি. মিটার থেকে শুরু করে কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত।

● বড় মাপের আঁচিল প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এগুলো বেশিরভাগই উপসর্গহীন।

● এগুলো অনেক সময় সংক্রমিত হয়। অথবা ঘষা লাগার ফলে রক্ত পড়ে। এমন অবস্থা হলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

সাধারণ কারণ

বংশগত কারণে ত্বকে আঁচিল দেখা দেয়। এছাড়াও ওজন বৃদ্ধি ও ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স’য়ের কারণে এমনটা হয়ে থাকে।

এটা বয়স বাড়ার সঙ্গে দেখা দিলেও অন্যান্য কারণও আছে।

যাদের বংশে ডায়াবেটিস, বাড়তি ওজন ও বহুমূত্র রোগ আছে তাদের ত্বকে আঁচিল ওঠার সম্ভাবনা থাকে। অনেক কম বয়সেও দেখা দিতে পারে।

এই রোগীদের মধ্যে ইন্সুলিন প্রতিরোধের অন্যান্য লক্ষণ যেমন- অ্যাক্যান্থোসিস এবং হাইপারপিগমেন্টেশন ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।

সমাধান

এই সমস্যা প্রসাধনী ব্যবহারের মাধ্যমেই কমানো যায়। বাড়তি কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না। খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টি না করলে এগুলো নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে।

অনেকক্ষেত্রে আঁচিল থেকে রক্ত পড়া, ব্যথা বা সংক্রমণ হয়ে পারে। সেক্ষেত্রে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

লেজার বা ইলেক্ট্রো কাটারি’র সাহায্যে আঁচিল দূর করা যায়। এটা কোনরূপ ক্ষতি ছাড়াও আঁচিল দূর করার সহজ উপায়।

অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে অচেতন করে লেজারের সাহায্যে আঁচিল কেটে নেওয়া হয়। আর সহজেই আরোগ্য লাভ করে। 

যেহেতু আঁচিলগুলো ত্বকের সাথে খুব বেশি সংযুক্ত থাকে তাই অপসারণের পরে খুব একটা ক্ষত থাকে না। যদিও বা থেকে যায় তবে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়।

এই পদ্ধতি একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের অধীনে সম্পন্ন করতে হয়।

এছাড়া জীবনযাত্রার পরিবর্তন যেমন- ওজন কমানো, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাবার খাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে আঁচিল তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়।

জনপ্রিয়