
ঈদুল আজহা মানেই টেবিলজুড়ে গরু ও খাসির বিভিন্ন পদের ছড়াছড়ি। রেড মিট যদিও পুষ্টিগুণে ভরপুর, তবুও অতিরিক্ত খেয়ে ফেলাটা উচিত নয়। কারণ এতে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা জানাচ্ছেন গরুর মাংস কতটুকু পরিমাণে খাওয়া নিরাপদ।
একজন সুস্থ মানুষ কতটুকু গরুর মাংস খাবেন?
একজন পূর্ণবয়স্ক এবং সুস্থ মানুষ নিজ শরীরের প্রতি কেজির জন্য ০.৮ থেকে ১ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। অর্থাৎ কারোর ওজন যদি হয় ৬০ কেজি, তাহলে তিনি খেতে পারবেন ৪৮ থেকে ৬০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন। তবে গর্ভাবস্থা, মাসিক চলাকালীন অথবা মাসল বাড়াতে চাইলে এর পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
ব্যক্তিভেদে ও রোগ অনুযায়ী একজন মানুষ ২ থেকে ৩ টুকরো মাংস খেতে পারবেন রোজ। বিশেষ কোনও রোগ থাকলে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। যেমন কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে এক টুকরো হতে পারে মাংসের পরিমাণ। যাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি তারা গরুর মাংস না খেলেই ভালো করবেন। আবার হৃদরোগী, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্যও গরুর মাংস এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
অতিরিক্ত মাংস খেলে কী হয়?
গরুর মাংসে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে অতিরিক্ত মাংস খেলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
গরুর মাংসে থাকা কোলেস্টেরল শিরায় জমে রক্ত চলাচলা বাধা দেয়। এতে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের আশংকা বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা অ্যালার্জিজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে।
বাড়তি গরুর মাংস খেলে ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।