ঢাকা শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

৪৬ ফুট লম্বা, ১৯ ফুট চওড়া, ২২ ফুট উঁচু  

আরব শেখের আজদাহা গাড়ি! 

বিবিধ

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:০০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

আরব শেখের আজদাহা গাড়ি! 

লম্বায় ৪৬ ফুট, উচ্চতায় প্রায় ২২ ফুট, চওড়া ১৯ ফুট। প্রতিটি চাকার জন্য আলাদা আলাদা ইঞ্জিন। এ গাড়ির নাম ‘হামার’। ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গাড়ির  ভেতরে রয়েছে দোতলা ব্যবস্থা। শোওয়ার ঘর, শৌচালয়, স্টিয়ারিং কেবিন— সব মিলিয়ে বাড়ি না গাড়ি, বোঝা মুশকিল।

বাইয়ের রাস্তায় এই ‘হামার’ দেখে ভির্মি খাওয়ার অবস্থা লোকজনের। এমনকি গাড়ি দেখে ভ্যাবাচাকা খেয়ে গিয়েছেন স্বয়ং ট্রাফিক কর্তারাও। আদর করে অনেকেই একে ‘হামজ়িলা’ বলেও ডাকেন।

জানা গেছে, গাড়িটির মালিকের নাম শেখ হামাদ বিল হামদান অল নাহইয়ান। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষমতাসীন রাজ পরিবারের সদস্য।

গাড়িপ্রেমীরা জানেন, হামার এমনিতেই ছোটখাটো ব্যাপার নয়। সাধারণত এই ব্র্যান্ডের গাড়ি লম্বায় হয় ১৫ দশমিক ৩৭ ফুট, উচ্চতায় ৬ দশমিক ৪২ ফুট এবং ৭ দশমিক ২ ফুট চওড়া হয়। কেবল ‘স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল’ (এসইউভি) তৈরির জন্য বিখ্যাত এই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা।

তবে যে গাড়িটি দুবাইয়ের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে, তাকে গাড়ি না বলে ‘দৈত্য’ বলাই যথার্থ। এ গাড়িটির পোশাকি নাম ‘হামার এইচ ওয়ান এক্স থ্রি’। ডিজেল পুড়িয়ে পথে দাপিয়ে বেড়ায় দোতলাসমান গাড়িটি। অবশ্য মাইলেজ কত তা জানা যায়নি। তবে জানা গেছে, বিশেষ অর্ডারে এই গাড়িটিকে তৈরি করিয়েছেন দুই হাজার কোটি ডলার সম্পত্তির মালিক শেখ হামাদ।

সম্প্রতি এই হামারের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি রাস্তায় হামারটি দাঁড়িয়ে আছে। সামনে দাঁড়িয়ে দু’টি পুলিশের গাড়ি। বাজছে সাইরেন।
হামারের সামনে কয়েক জন পুলিশকর্মীকে ছোটাছুটি করতেও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ওই গাড়ির সামনে সবাই যেনো লিলিপুট!

দুবাইয়ের শেখ হামাদের গাড়ির শখ। তাঁর নিজের সংগ্রহে রয়েছে ৩ হাজার গাড়ি। কোনোটিই সাধারণ নয়। বরং সব ক’টিই কোনো না কোনো রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। শেখ গাড়িগুলোকে রেখে দেন নিজের তৈরি করা মিউজিয়ামে। দুবাই ছাড়াও মরক্কো-সহ একাধিক দেশে রয়েছে সেগুলো।

ধনী মহলে শেখ হামাদের পরিচয় ‘রামধনু শেখ’ হিসাবে। কারণ, তিনি নাকি ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে রামধনুর সাত রঙের সঙ্গে মিলিয়ে সাতটি মার্সেডিজ এস শ্রেণির গাড়ি বিয়ের উপহার হিসাবে তৈরি করে দিতে এক জার্মান সংস্থাকে অর্ডার দিয়েছিলেন। সূত্র: আনন্দবাজার

জনপ্রিয়