
মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগের মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার ইলিয়াস হোসাইনের সম্পত্তি ক্রোক বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিলো। ইলিয়াস হোসাইনের সম্পত্তি পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ। এরপর আদালত ইলিয়াস হোসাইনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন। আগামী ২৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত। এর আগে গত ৩১ আগস্ট ইলিয়াস হোসাইনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন একই ট্রাইব্যুনাল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম বাবুল আকতার গত ৯ এপ্রিল ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২৫ জুলাই এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে আদালত। মামলা থেকে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দেন আদালত। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন এবং বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করা হয়। ইলিয়াস হোসাইন পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ারা জারি করেন। এদিন বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু আদালতে হাজিরা দেন। চার্জশিটভূক্ত অপর দুই আসামি হলেন বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেই ভিডিওতে দাবি করা হয়, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার। এছাড়াও বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে।