
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, হঠাৎ করে কেনো মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সড়ক নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা সিস্টেমটি পরিবর্তন করেছি। আজ পিটার হাসকে সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করেছি। আমরা কূটনৈতিক পাড়ায় কোনো ধরনের নিরাপত্তার ত্রুটি হতে দেব না। কূটনৈতিক পাড়া ও তাদের চলাচল যাতে নিরাপদ থাকে; সেই ব্যবস্থা আমরা করব। সেজন্য আমরা কাজ করছি।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত কোন কোন বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাকে সড়ক নিরাপত্তা দেওয়া হতো, সেটি সম্পর্কে তিনি কথা বলেছেন। কেন সেটি প্রত্যাহার করা হলো। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রালয় থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন। আমরা সিদ্ধান্ত এ রকমই নিয়েছি যে, যেসব দূতাবাস মনে করে, সড়কেও তাদের নিরাপত্তার দরকার আছে, তাদের আমরা সড়ক নিরাপত্তা দেব। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে আমরা সব দূতাবাসকে জানিয়ে দিয়েছি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তাদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে চলাচলের বিষয়ে আমরা সবসময় সতর্ক আছি। আমাদের অঙ্গীকার হলো, সব রাষ্ট্রদূত যাতে নিশ্চিন্তে নিরাপদে থাকেন, তার ব্যবস্থা করা।
আনসার রেজিমেন্টের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেটি তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা কিছু সময় চেয়েছেন। কিন্তু আমরা যাদের মাধ্যমে এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব, তারা সুপ্রশিক্ষিত। কাজেই তাদের নিরাপত্তায় রাষ্ট্রদুতরা নির্বিঘ্নে থাকতে পারবেন।
রাষ্ট্রদূতরা এখন পর্যন্ত আবেদন করেছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা মৌখিকভাবে আবেদন করেছেন। আমরাও তাদের জানিয়ে দিয়েছি, আমরা আবারও কথা বলব, বসব। যদি আমরা মনে করি, কোনো জায়গায় আপনাদের নিরাপত্তার অভাব আছে, সেটা আমরা ব্যবস্থা করব।
এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি প্রসঙ্গেও আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে। সরকার একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন চায়, ভিসা নীতির মাধ্যমে তাতে সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ঘোষিত ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।
বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ নিয়ে ভিসা নীতি নিয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানতে এসেছিলেন। শুরুতেই তিনি বলেছিলেন যে, কাউকে উদ্দেশ্য করে এই ভিসা নীতি করা হয়নি। নির্বাচন যাতে সুন্দর হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই নীতি করা হয়েছে।