ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ , ৬ কার্তিক ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

সুপার এইটে বাংলাদেশ

খেলা

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২৫, ১৭ জুন ২০২৪

সর্বশেষ

সুপার এইটে বাংলাদেশ

সুপার এইটে যেতে বাংলাদেশের সামনে তিনটি দরজা খোলা ছিল। সেগুলো হলো- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের হার, ডাচরা জিতে নেট রানরেটে টাইগারদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা কিংবা নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়। অন্য কারো ওপর নির্ভর না করে শেষের সমীকরণ মিলিয়েই সুপার এইটে উঠল নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনী। কিংসটাউনে রোহিত পৌদেলের দলকে ৮৫ রানে অলআউট করে দিয়ে ২১ রানে জয় পেয়েছে তারা। এতে বাদ পড়ল নেদারল্যান্ডস।

সুপার এইটে ১ নম্বর গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী আফগানিস্তান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। 
সোমবার (১৭ জুন) আরনস ভেল গ্রাউন্ডে ১০৭ রানের টার্গেট দিয়ে ৯ রানেই নেপালের ২ উইকেট ফেলে দেয় বাংলাদেশ। দলীয় ২০ রানে তারা শিকার করে আরও এক উইকেট। ফলে চাপে পড়ে সন্দীপ লামিচানে বাহিনী। ৩টি উইকেটই নেন তানজিম সাকিব। মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম ওভার করতে এসেই উইকেট নেন। ৪ রান দিয়ে তিনি শিকার করেন আসিফ শেখকে। আসিফ ১৭ রান নিয়ে বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছিলেন।

দলীয় ২৬ রানে যায় আরও এক উইকেট। সুন্দীপ জোরাকে তুলে নেন তানজিম। ফলে ৪ উইকেট পূর্ণ হয় তার। এরপর কুশাল মাল্লা ও দিপেন্দ্র সিং মিলে নেপালকে জয়ের আশা দেখাতে থাকেন। দুজনে মিলে গড়ে ফেলেন অর্ধশত রানের জুটিও। ৫২ রানের জুটির পর ফিজ সেই জুটি ভাঙেন। ৪০ বলে ২৭ রান করেন মাল্লা। গুলশান ঝা করেন শূন্য। তখনও টাইগারদের গলার কাঁটা হয়ে টিকে ছিলেন দিপেন্দ্র সিং। গত এপ্রিলে কাতারের বিপক্ষে এক ওভারে ৬টি ছয় হাঁকিছিলেন তিনি।

১৯তম ওভারে দিপেন্দ্রকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩১ বলে ২৫ রান করে উইকেটের পেছনে লিটনকে ক্যাচ দেন দিপেন্দ্র। ওই ওভারে কোনো রানই দেননি ফিজ। সোমপাল কামিও একইভাবে সাকিবকে উইকেট দেন, অবিনাশ বহরা হন এলবিডব্লিউ। ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেয়া তানজিম হন ম্যাচসেরা। আগের তিন ম্যাচে তিনি নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ফলে ৯ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হলেন তিনি। ফিজ ৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। সাকিব ২টি ও তাসকিন একটি উইকেট পান।

এর আগে কোনোমতে একশ পার করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। সব কটি উইকেট হারিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনী করে ১০৬ রান। দলের কেউই বিশের ঘর পেরোতে পারেননি, সাকিব আল হাসান সর্বোচ্চ ১৭ রান করেছেন।
আরনস ভেল গ্রাউন্ডে আগের ম্যাচে ১৫৯ রান করেছিল বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে নেপালের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়। শুরু থেকেই উইকেটের মিছিল চলতে থাকে বাংলাদেশের। রান উঠার আগেই তানজিদ তামিম বিদায় নেন। গোল্ডেন ডাকে তিনি সাজঘরে ফেরেন কামির উদ্বোধনী ওভারে। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। ৫ বলে এদিন ৪ রান করে দিপেন্দ্র সিংয়ের কাছে ধরা দেন তিনি। লিটন দাস তাও রান তোলার চেষ্টা করছিলেন। ১০ রানে থামতে হয় তাকে। তার উইকেট নেন কামি।

দ্রুতই তাওহীদ হৃদয় ৭ বলে ৯ রান করে লিটনের পথ ধরেন। এরপর মাহমুদউল্লাহ সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন মাহমুদউল্লাহ। ১৩ বলে ১৩ রান করেন ফিনিশারখ্যাত ব্যাটার। সাকিবের সঙ্গে তার জুটি হয় ২২ রানের। দলীয় ৬১ রানে সাকিব ১৭ রান করে রোহিতের শিকার হন।

তানজিম সাকিব এদিন করেন ৩ রান, জাকের আলী ১২। রিশাদ হোসেনের বিগ হিটার হিসাবে সুনাম আছে। ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি এসেছে তার ব্যাট থেকে। ৭ বলে ১৩ রান করেন এ ডানহাতি। জাকের ও রিশাদের উইকেট নেন লামিচানে। শেষে একশর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কা জাগে বাংলাদেশের। কিন্তু তাসকিন আহমেদের ১২ রানে ভর করে ১০৬ করতে সক্ষম হয় নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনী। মোস্তাফিজুর রহমান ৩ করে রানআউট হন।

জনপ্রিয়