মণিরামপুরের গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী সাবিনা খাতুনের আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত করতে গেলে তদন্তকারী দুই কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসার মাহাফুজুল হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে পড়েন। তদন্তকারী দল পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসলেও ক্ষুব্ধ জনতা কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিমকে জুতাপেটাসহ বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ যশোরের মণিরামপুরের গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীর ইংরেজি পরীক্ষায় নকল ও খাতা কেড়ে নিয়ে পরীক্ষার কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার পর চিরকুট লিখে সাবিনা খাতুন নামের এক শিক্ষার্থী বাড়িতে ঘরের মধ্যে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় তদন্তের জন্য উপ-পরিচালক খুলনাঞ্চল থেকে যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহাফুজুল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়।
আজ বুধবার সকালে জেলা শিক্ষা অফিসার মাহাফুজুল হোসেন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার সরেজমিন গোপাল স্কুল এন্ড কলেজে যান। তদন্তকারী ওই দুই সদস্য কলেজের শিক্ষকদের সাথে কথা বলার একপর্যায়ের দুপুরে কলেজ ছাত্রী সাবিনার স্বজনসহ এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা কলেজে হামলা করে। এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিমকে জুতাপেটাসহ বেধড়ক মারপিট করে আহত করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। একপর্যায়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন জেলা শিক্ষা অফিসার মাহাফুজুল হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার।
এসব বিষয়ে কথা বলতে অধ্যক্ষ রেজাউল করিমকে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করলে অবস্থা আরো খারাপ হতো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বলা যায় পুলিশের সহযোগিতা নিয়েই আমরা দু’জন অফিসার ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। জেলা শিক্ষা অফিসার মাহাফুজুল হোসেনও সাংবাদিকদের সঙ্গে একই কথা বলেছেন।