ঢাকা রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ , ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছুটির দিনেও কারখানা চালু গাজীপুরে  

দেশবার্তা

আমাদের বার্তা, গাজীপুর

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ২১:৫৩, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছুটির দিনেও কারখানা চালু গাজীপুরে  

কয়েক দিন ধরে চলা শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনেও চালু রাখা হয় গাজীপুরের প্রায় ৩০ শতাংশ কারখানা। পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় সকাল থেকেই শুরু হয় কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম।

বিভিন্ন দাবিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে শ্রমিক অসন্তোষ। এতে একধরনের অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয় শিল্পনগর গাজীপুরে। দাবি আদায়ে কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। ঝামেলা এড়াতে কোনো কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা, আবার কোনো কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে কারখানাগুলোর উৎপাদন কমে দাঁড়ায় শূন্যের কোঠায়। দেখা দিয়েছে আর্থিক সংকট। সেই সংকট কাটিয়ে নিতে গতকাল খোলা রাখা হয়েছে অনেক কারখানা।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বলেন, শুক্রবার মূলত পোশাকশ্রমিকদের ছুটির দিন। কিন্তু গত কয়েক দিনের বিক্ষোভে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতেই মালিকপক্ষের লোকজন কারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার পুরো জেলায় মোট কারখানার প্রায় ৩০ ভাগ চালু থাকে। তবে যে আটটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, সেগুলো বন্ধই ছিলো।

মোহাম্মদ সারওয়ার আলম আরও বলেন, শুক্রবার সকাল থেকেই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন কারখানায় পাহারা দেন। যেসব কারখানায় অসন্তোষের আশঙ্কা ছিলো, সেসব কারখানার সামনে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, পুরো জেলায় সব মিলিয়ে নিবন্ধিত কারখানা রয়েছে ২ হাজার ৬৩৩টি। এর বাইরে অনিবন্ধিত কারখানা আছে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০টি। এসব কারখানায় শ্রমিক কাজ করেন প্রায় ২২ লাখ।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গত বুধবার গাজীপুর নগরের ভবানীপুর এলাকায় বিক্ষোভ করছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের একটি কারখানার শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে তাঁরা আশপাশের কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর চালান। কিছু শ্রমিক বিগবস নামের একটি কারখানায় আগুন দেন। একইভাবে শ্রমিক অসন্তোষ চলে টঙ্গী, সালনা, কাশিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়। এ জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩০টি কারখানায় সাধারণ ছুটি এবং ৮টি কারখানা অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার জেলার তিনটি কারখানা বন্ধ ঘোষণাসহ ছুটি ঘোষণা করা হয় পাঁচটি কারখানা।

 

জনপ্রিয়