
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গরিব মানুষের জন্য, অসহায় মানুষের জন্য, রোগাগ্রস্ত মানুষের সাহায্যের জন্য কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে গত বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। এর আগে দিনব্যাপী বিভাগটির উদ্যোগে ব্যাচভিত্তিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ফ্লাশমবসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক ও নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব তুলে ধরে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হলে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে আমরা সোনার খনি উপহার দিতে চাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা তোমরাই ডুবাতে পারো, তোমরা ভাসাতে পারো, আকাশে উড়াতে পারো। সুতরাং এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে না যেন তোমার, তোমার পরিবারের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম বা সুনাম ক্ষুণ্ন হয়।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, জীবনে চলার দুইটা পথই আছে। এ চলার পথে একদল আলোকিত মানুষ হয়, অন্যরা ঘৃণিত হয়। তোমরা হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকাবাহী প্রতিনিধি। এর মান ধরে রাখাও তোমাদের দায়িত্ব। ‘আমরা চাকরি চাইবো না, চাকরি দেব’- এটি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান। সুতরাং এটি বাস্তবায়নে তোমাদের পরিশ্রম করতে হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আলোকিত মানুষ হতে হবে, নইলে এই স্লোগান ধরে রাখতে পারবে না।