
ভারতের শীর্ষ রপ্তানিকারকরা সাশ্রয়ী দামে চাল সরবরাহ করায় আকৃষ্ট হচ্ছেন ক্রেতারা। এতে চলতি সপ্তাহে বেড়েছে দেশটির চালের চাহিদা। ফলে কিছুটা মন্থর হয়ে পড়েছে এশিয়ার অন্য শীর্ষস্থানীয় চাল রপ্তানিকারক দেশগুলোর কার্যক্রম। খবর রয়টার্স।
ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের চালের দরের চেয়েও আকর্ষণীয় দাম পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা এখন ভারত থেকে আমদানি বাড়িয়েছেন। এতে কিছুটা মন্থর হয়ে পড়েছে দেশ দুটোর রপ্তানি বাণিজ্য। চাল রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নয়াদিল্লি ভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন। ২০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে কেনার পরও তারা অন্য দেশের চেয়ে ভালো দরে ভারতীয় চাল পাচ্ছেন।’
আধাসেদ্ধ চাল রপ্তানিতে আগস্টে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকার, যা কার্যকর থাকবে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। পাশাপাশি নন-বাসমতী সাদা চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে দেশটি। এতে এশিয়াসহ বিশ্ববাজারে শস্যটির সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা দেখা দেয়। পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করে দাম। আগস্টে ১৫ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছে শস্যটির বাজারদর। ক্রেতারা অতিরিক্ত ব্যয় এড়াতে ভারতীয় চাল আমদানি কমিয়ে দিলে দেশটির রপ্তানিকারকরা বিপাকে পড়েন।
বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে ১ কোটি ৪০ লাখ টন চাল উৎপন্ন হয়েছে। এ বছর ১ কোটি ৭০ লাখ টন চাল উৎপাদনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে এ তথ্যকে বৈশ্বিক বাজারে চলমান অস্থিরতার মধ্যে ‘স্বস্তিদায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম প্রতি টনে বিক্রি হয়েছে ৬০৫ ডলারে। চলতি সপ্তাহে দর ৫৯০-৬০৭ ডলারের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। দাম ওঠানামার জন্য ডলারের বিনিময় হার পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা।