ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

‘দেশের নিট রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচ’

অর্থনীতি

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ৪ অক্টোবর ২০২৩

সর্বশেষ

‘দেশের নিট রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচ’

দেশে যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ঢুকছে এবং যা বেরিয়ে যাচ্ছে, তার প্রকৃত হিসাব মিলছে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। ব্যালান্স অব পেমেন্টে বা লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হওয়ায় রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর মতে, এখন বৈদেশিক মুদ্রার নিট মজুত কমে ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

আজ বুধবার ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলনে এ তথ্য দেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

দেশের সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার একটি কারণ বহিস্থ বলে উল্লেখ করেন জাহিদ হোসেন। বলেন, এই বহিস্থ কারণের বড় দিক হচ্ছে ডলারের দাম। ইউএস ডলার ইনডেক্সের মান ২০২১ খ্রিষ্টাব্দেও ১০০-এর নিচে ছিল। কিন্তু ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে তা ১০০-এর ওপরে চলে যায়। এখন কিছুটা কমলেও এখনো তা ১০০-এর ওপরে রয়েছে।

দেশে কত বিদেশি মুদ্রা ঢুকছে এবং কত মুদ্রা বেরিয়ে যাচ্ছে, তার হিসাব রিজার্ভ দিয়ে মিলছে না বলে অভিযোগ করেন জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সাধারণত এই হিসাব কখনো ধনাত্মক, আবার কখনো ঋণাত্মক। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এই হিসাব বেশ কিছুদিন ধরে ঋণাত্মক। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো, আমাদের জানার বাইরে কিছু একটা ঘটছে।’

বিশ্ববাজারে তেলের দাম এবং ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। জাহিদ হোসেন মনে করেন, সে কারণে অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, এতে যেমন বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার কমছে, তেমনি রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, এসব কারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম ৬-এর সংজ্ঞা অনুসারে বাংলাদেশের নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

অনুষ্ঠানে জাহিদ হোসেন আরও বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার পেছনে বৈশ্বিক কারণের সঙ্গে দেশীয় কারণও আছে। সেটা হলো সরকারের নীতি পরিবর্তন। সরকারের অগতানুগতিক নীতির কারণে গত ২৪ মাস বা ২ বছরে প্রতি মাসে ১০০ কোটি ডলার করে রিজার্ভ কমেছে। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহও কমছে। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে যেখানে মাসে ২০০ কোটি ডলার আসত, সেখানে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম ৩ ত্রৈমাসিকে দেশে প্রতি মাসে গড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।

মুদ্রার বিনিময় হার সম্পর্কে জাহিদ হোসেন বলেন, বাজারে বিদেশি মুদ্রা চাহিবামাত্র পাওয়া না গেলে মুদ্রার প্রতিযোগিতামূলক, বাজারভিত্তিক, নমনীয় ও একক বিনিময় হার নির্ধারণ করেও লাভ হবে না। 

এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতির সমালোচনা করেন জাহিদ হোসেন। তাঁর ভাষায় এটি ‘অনন্য’; এ কারণে যে এটি একদিক থেকে সংকোচনমূলক, আরেক দিক থেকে সম্প্রসারণমূলক। এটা কোনোভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। আবার বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ কমলেও সরকারের ঋণ বাড়ছে।

সেই সঙ্গে তেলের বাড়তি দামের বিষয়টিও উল্লেখ করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক এই মুখ্য অর্থনীতিবিদ। এ কারণেও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইবিএফবির সভাপতি ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশীদ।

জনপ্রিয়