
পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের প্রতি নীতি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে পৃথক বৈঠকে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির নেতারা।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান জানান, পরিবর্তনশীল ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং তৈরি পোশাক শিল্পের চাহিদা বিবেচনা করে খাতটিকে দীর্ঘমেয়াদে প্রতিযোগিতামূলক রাখার পাশাপাশি শিল্পের নতুন সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে হবে। এর জন্য সরকারের সময়োপযোগী নীতি সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প যাতে ক্রমাগত বিকাশ লাভ করে এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অব্যাহতভাবে অবদান রাখে, সেজন্য এ শিল্পকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বৈঠকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং বৈশ্বিক বাজারের প্রবণতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য শিল্পের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ফারুক হাসান বলেন, ‘তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে লিড টাইম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে। তিনি কাস্টমস এবং বন্ড পরিষেবাসহ ব্যবসায়িক পদ্ধতিগুলো আপডেট ও সহজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং এ বিষয়ে সরকারি সহায়তার জন্যও অনুরোধ জানান।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান পোশাক শিল্পের টেকসই কৌশলগত রূপকল্প ২০৩০ সম্পর্কে বলেন, ‘এ রূপকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে পোশাক শিল্পকে আরো টেকসই অনুশীলনের দিকে পরিচালিত করা এবং ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্জন করা। রপ্তানির এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিল্পের যাত্রা সহজতর করার জন্য সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে এ শিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।’