
পশ্চিমা বাজারগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মূল্যস্ফীতির চাপে পড়ায় পোশাক রপ্তানির বিপরীতে অর্থপ্রাপ্তিতে চ্যালেঞ্জ দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের এক্সটার্নাল ইকোনমিকস শাখায় তৈরি পোশাকের প্রান্তিক পর্যালোচনা শীর্ষক প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। যার জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৩-২৪ সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে গত সপ্তাহে। প্রতিবেদনটিতে পোশাক রপ্তানির বিপরীতে অর্থপ্রাপ্তির প্রবাহ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে প্রক্ষেপণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়, সংকটপূর্ণ বৈশ্বিক আর্থিক পরিস্থিতির প্রভাবে দেশের অর্থনীতির অন্যতম অবলম্বন তৈরি পোশাক এখন মন্থর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে লক্ষ্যের চেয়ে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ রপ্তানি কম হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের চেয়ে রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, বৈশ্বিক অর্থনীতি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও উচ্চ সুদের হারের মতো বিষয়গুলোর কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। এছাড়া ভূ-অর্থনীতির ভবিষ্যৎ ল্যান্ডস্কেপ, উৎপাদনশীলতার দুর্বলতা এবং জটিল আর্থিক পরিবেশে চলতি অর্থবছরের আগামী মাসগুলোয় পোশাক খাতের রপ্তানির বিপরীতে অর্থপ্রাপ্তি কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে।
প্রতিবেদন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সংকট চলমান রয়েছে। পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে বৈশ্বিক রাজনীতিতেও। রপ্তানি আয়ের বড় উৎসগুলোর অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস যুক্তরাষ্ট্র এখন সম্প্রসারণমূলক নীতির দিকে ধাবিত হয়নি, দেশটি সংকোচনমূলক নীতিতেই চলছে। সম্প্রতি দেশে শ্রম অসন্তোষ দেখা দিয়েছিলো, যা ক্রেতাদের ক্রয় চর্চায় প্রভাব ফেলতে পারে। এরই মধ্যে ক্রেতাদের অর্থ পরিশোধ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে দেখা গেছে। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ প্রতিবেদনে।