ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫ , ১২ চৈত্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

খোলাবাজারে বেড়েছে ডলারের দর

অর্থনীতি

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ৩০ জুলাই ২০২৪

সর্বশেষ

খোলাবাজারে বেড়েছে ডলারের দর

স্থিতিশীল থাকা ডলারের দর এক দিনের ব্যবধানে আবারো বেড়েছে। আজ মঙ্গলবার খোলাবাজারে দাম বেড়ে ১২৪ টাকা হয়েছে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক পরিস্থিতির আগে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছিল ১২০ টাকা। ব্যাংকগুলোও রেমিট্যান্স কেনায় দর বাড়িয়ে ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে। এর আগে যা ১১৭ টাকা ছিল।

আইএমএফের পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৮ মের ডলারের দর নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করে। এর মাধ্যমে এক লাফে প্রতি ডলারে ৭ টাকা বাড়িয়ে মধ্যবর্তী দর ঘোষণা করা হয় ১১৭ টাকা। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ডলারের দর নির্ধারিত ছিল ১১০ টাকা। এর পর থেকে রেমিট্যান্স দ্রুত বাড়ছিল। ব্যাংকে ডলারের দর ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় স্থিতিশীল ছিল। খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছিল ১২০ টাকায়। এর আগে যা ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা ছিল।

একটি মানিচেঞ্জারের কর্মকর্তা বলেন, সোমবার তারা ১২১ টাকা ৬০ থেকে ৭০ পয়সায় ডলার কিনে বিক্রি করেছেন ১২২ টাকা। টানা ৫ দিন পর গত বুধবার অফিস খোলার পর ডলারের বাড়তি চাহিদার কারণে দর বাড়তে শুরু করে। ওই দিন তারা ১২১ টাকা থেকে ১২১ টাকা ১০ পয়সায় কিনে বিক্রি করেন ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে গতকাল এ পর্যায়ে উঠেছে।

গত মে ও জুন মাসের পর চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে রেকর্ড রেমিট্যান্স আসছিল। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তিন দিনের সাধারণ ছুটিসহ ৫ দিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। এর পর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতি দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ থেকে ২৮ জুলাই ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর মানে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। এর আগে ১ থেকে ১৮ জুলাই এসেছিল ১৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর মানে প্রথম ১৮ দিনে দৈনিক গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। শুরুর ১৮ দিনের ধারা বজায় থাকলে জুলাই মাসে ২৪৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসত।

ডলারের দর বাড়ানোর পর গত মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার এবং জুন মাসে ২৫৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। পরপর ওই দুই মাসের রেমিট্যান্স ছিল এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনার প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালের জুলাইতে ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। মূলত ওই সময় করোনার লকডাউনের কারণে হুন্ডি প্রায় বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রচুর রেমিট্যান্স আসে।

জনপ্রিয়