
তৈরী পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমএই। যেহেতু নগদ সহায়তা কোন ব্যবসায়িক আয় নয়, তাই নগদ সহায়তার অর্থকে করের আওতার বাইরে রাখাই যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করছে তৈরী পোশাক মালিকদের সংগঠন।
আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে পোশাক খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা খুবই জরুরি উল্লেখ করে সংগঠনটি বলছে, দেশে তৈরী পোশাক শিল্পের উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে অর্থনীতিকে বেগবান করে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব।
বিজিএমএইএ'র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রপ্তানি বাণিজ্যকে টিকিয়ে রাখতে সরকার কর্তৃক নীতিগত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ‘কস্ট অব ডুইং বিজনেস’ কমানোর লক্ষ্যে বাজেটে বিদ্যুৎ, গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ সহ মূল্য হ্রাসের ব্যবস্থা করতে হবে, ভ্যাট ট্যাক্স কমাতে হবে, ব্যাংক ইন্টারেস্ট সিঙ্গেল ডিজিটের মধ্যে রাখতে হবে, রপ্তানি আয়ে ইনসেন্টিভ অব্যাহত রাখতে হবে। বাজেটে ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সহজীকরণ নীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, দেশে দেশে মুদ্রাস্ফীতির কারণে আর্ন্তজাতিক বাজারে পোশাকের দরপতন, অর্ডার স্বল্পতা, মূল্য কম, সমস্ত শিল্পেই পেমেন্ট ইনসিকিউরডসহ রপ্তানিকারকদের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই মুহূর্তে সরকারের কাছ থেকে নীতি সহায়তা প্রত্যাশা করছি।’