
রাজস্ব আয় বাড়াতে স্থানীয় এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া বিদ্যমান সুবিধা কমিয়ে আনার অংশ হিসেবে আগামী বাজেটে সিলিন্ডারের মূল কাঁচামাল আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ার পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ খাতকে দীর্ঘদিন ধরে ‘রিডিউসড রেটে’ আমদানির সুযোগ দিয়ে আসছে সরকার। খাতগুলো এখন অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। রাজস্ব আদায়ের অংশ হিসেবে এসব খাতের সুবিধা কিছুটা কমিয়ে ট্যাক্স বাড়ানো হচ্ছে।
অবশ্য এলপিজি সিলিন্ডারের উৎপাদন পর্যায়ে (লোহা আর স্টিল) ভ্যাট ৭.৫ শতাংকশ করা হলেও এই সুযোগ এক বছরের জন্য থাকতে পারে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলপিজি সিলিন্ডারের মূল কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট বেড়ে গেলে সিলিন্ডারের দাম বেড়ে যেতে পারে, যার চাপ যেতে পারে ভোক্তার ওপর।
বর্তমানে এলপিজি সিলিন্ডারের কাঁচামাল হিসেবে স্টিল শিট আর ওয়েল্ডিং ওয়্যার আমদানিতে এ খাতের উদ্যোক্তাদের কাস্টমস ডিউটি দিতে হয় ৩ শতাংশ, পাশাপাশি ভ্যাট মওকুফ রয়েছে। আর সাধারণ আমদানিকারকদের দিতে হয় ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট।
অর্থাৎ এলপিজি উৎপাদনকারীরা আলোচ্য মূল দুটি কাঁচামাল আমদানিতে সাধারণ আমদানিকারকদের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ ট্যাক্স সুবিধা পেয়ে থাকে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এনবিআরের এ সংশ্লিষ্ট আদেশ থেকে (স্ট্যাটিউটরি রেগুলেটরি অর্ডার-এসআরও) আলোচ্য স্টিল শিট আর ওয়েল্ডিং ওয়্যার বাদ যেতে পারে। যার অর্থ হলো, আলোচ্য দুটি কাঁচামাল আমদানির জন্য স্বাভাবিক শুল্ক ও ভ্যাট প্রদান করতে হতে পারে।
গত কয়েক বছর ধরে বাসাবাড়িতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে আনতে সরকার এলপিজি সিলিন্ডারকে উৎসাহিত করছে। এর অংশ হিসেবে সরকারের দেয়া রিডিউসড ট্যাক্স রেট এর সুবিধা নিয়ে দেশে স্থানীয়ভাবে এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনে বিনিয়োগ আসতে থাকে।
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে বাংলাদেশে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য প্রথম এলপিজি সিলিন্ডারের কাঁচামাল আমদানির শুল্ক কমানো হয়।
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ সুবিধা প্রত্যাহার করা যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরাও।