
২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির তুলনায় ব্যক্তি খাতের ভোগ ও বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির হার অনেকটাই নিচে নেমেছে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ সাময়িক হিসাবে উঠে এসেছে। জিডিপিতে বেসরকারি ভোগ ও বিনিয়োগ কমে আসার বিষয়টিকে অর্থনীতির জন্য ভীতিকর হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যক্তি খাতসংশ্লিষ্টরা। যদিও নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা, এ পরিস্থিতি থেকে দ্রুতই বেরিয়ে আসতে সমর্থ হবে বাংলাদেশ।
মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধির চেয়ে ব্যক্তি খাতের ভোগ ও বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির তুলনায় এতটা কমে যাওয়াকে অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও বেসরকারি খাতসংশ্লিষ্টরা। ব্যক্তি খাতের ভোগ ও বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধির হার নিম্নহার সত্ত্বেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপিত হার ৬ শতাংশের ওপরে ওঠার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। তাদের ভাষ্যমতে, ভোগ কমার প্রধান কারণ হলো পণ্য বিক্রি কমে যাওয়া। ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতাকে চাপে ফেলেছে মূল্যস্ফীতি। এর ধারাবাহিকতায় হ্রাস পেয়েছে খুচরায় পণ্য বিক্রি তথা ভোগ। আবার বিনিয়োগকারীর হাতেও নতুন বিনিয়োগ করার মতো পর্যাপ্ত তারল্য নেই। সব মিলিয়ে বেসরকারি খাত এখন নাজুক অবস্থানে রয়েছে। অথচ শিল্প, বাণিজ্য, সেবাসহ সবকিছু বিবেচনায় মূলত ব্যক্তি খাতই দেশের অর্থনীতিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় রয়েছে। বেসরকারি খাতের এ নাজুক পরিস্থিতি সার্বিক অর্থনীতির জন্য ভালো কিছুর ইঙ্গিতবাহী নয়।
বিষয়টি স্বীকার করছেন নীতিনির্ধারকরাও। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির বড় একটা চালিকাশক্তি হলো ব্যক্তি খাতের ভোগ ও ব্যয়। এগুলো কমেছে বলেই প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে পৌঁছায়নি। এটা কম হতে পারে, কারণ আমাদেরকে মূল্যস্ফীতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। মূল্যস্ফীতিতে সবাইকেই ব্যয় সংকোচন করতে হয়েছে।