ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে বাজেটে

অর্থনীতি

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ১ জুন ২০২৩

সর্বশেষ

যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে বাজেটে

যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা কারণে নির্বাচনের বছরে মূল্যস্ফীতির চাপ, এরিমধ্যে উচ্চ রাজস্ব আদায় করে অর্থনীতিতে গতি ও ভারসাম্য রাখার প্রয়াস; এই দুই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে আগামী বাজেটে ব্যাপকভাবে শুল্ক-করের হেরফের হতে পারে।

এই অভিঘাতে যেমন বাড়তে পারে অনেক পণ্যের দাম, তেমনি কমতেও পারে অনেক পণ্যের মূল্য।

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তাফা কামাল।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে, সেসবের মধ্যে রয়েছে-  

*মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট আরোপ হতে পারে দুই শতাংশ। বসতে পারে সংযোজনের ক্ষেত্রেও ভ্যাট। এরফলে বাড়তে পারে মোবাইল ফোনের দাম।

* স্থানীয় এলপিজি সিলিন্ডারের মূল কাঁচামাল আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ার পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হতে পারে। সিলিন্ডার উৎপাদনকারীদের বর্তমানের ভ্যাট হার পাঁচ শতাংশ থেকে বেড়ে সাড়ে সাত শতাংশ হতে পারে।

* সিগারেটের ওপর সম্পূরক শুল্কও কিছুটা বাড়তে পারে।

* কার্বনেটেড পানীয় শিল্পের (বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি) ওপর বর্তমানের টার্নওভার করের হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ, যা নতুন বাজেটে পাঁচ শতাংশ হতে পারে।

* বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের আওতায় বিনিয়োগকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে এক শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ হতে পারে।

* নির্মাণসামগ্রীর উপকরণ আমদানিতে শুল্ক বাড়তে পারে।

* শিল্পে যানবাহন আমদানিতে পিকআপ ভ্যানের ওপর শুল্কছাড় উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।

* বর্তমানে কলম উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে। আগামী বাজেটে এ খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হতে পারে।

* প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রী উৎপাদনে ভ্যাট পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাত দশমিক ৫০ শতাংশ করা হতে পারে।

* অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি গৃহস্থালিসামগ্রী ও তৈজসপত্রের ভ্যাট হার বাড়ানো হতে পারে।

* কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনেও ভ্যাটের হার বাড়ানো হতে পারে।

* জমির নামজারি ফি, হাটবাজারের ইজারামূল্য, চিড়িয়াখানার প্রবেশমূল্য বাড়তে পারে।

* ভ্রমণ অথবা চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমনে বিমান টিকিটের ওপর ভ্রমণ কর বাড়ানো হতে পারে।

* আকাশপথে দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে ২০০ টাকা ভ্রমণ কর আরোপ হতে পারে।

* স্থলপথে বিদেশ গমনে ৫০০ টাকা ও নৌপথে ৮০০ টাকা কর বহাল রয়েছে, যা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হতে পারে।

* আকাশপথে সার্কভুক্ত দেশ ভ্রমণে এক হাজার ২০০ টাকা কর আছে, যা বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করা হতে পারে।

* ডলার সাশ্রয়ে এবং শুল্ক ফাঁকি রোধে কাজুবাদাম, খেজুরের মতো খাদ্যসামগ্রীর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। তাজা ও শুকনা খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে।

* দেশে বাদাম চাষকে উৎসাহিত করতে কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করা হচ্ছে।

* এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফল ও বাদামের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে বিধায় ফল ও বাদামের দাম বাড়তে পারে।

* শুল্ক ফাঁকি রোধে বাজেটে সব ধরনের ওভেন আমদানির শুল্ক ৩০ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে।

* বিরিয়ানি-তেহারির প্রধান উপকরণ বাসমতি চাল আমদানিতে ভ্যাট বসানো হতে পারে।

* বাজেটে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়ানো হতে পারে।

* চশমার ফ্রেম ও সানগ্লাস আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে সাত শতাংশ করা হতে পারে।

*  সাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হতে পারে।

* সিরিশ কাগজ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হতে পারে।

* ভাঙা জিনিস জোড়া দেওয়ার আঠা বা গ্লু সংরক্ষণমূলক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে।

* বাড়ি নির্মাণের প্রধান উপকরণ সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে বর্তমানে টনপ্রতি ৫০০ টাকা শুল্ক আছে, এটি বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হতে পারে। 

* বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত বিদেশি টাইলস আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হতে পারে।

* আগামী অর্থবছরের বাজেটে দামি গাড়ির ওপর নতুন করে আরোপ হতে পারে। ফলে বাজেটে দামি গাড়ি আরও দামি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০০১ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ি আমদানিতে এখন ২০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসে। যেটা বাড়িয়ে ২৫০ শতাংশ এবং ৩০০১ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৩৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করে ৫০০ শতাংশ করা হতে পারে।

এদিকে নিম্নআয়ের মানুষের কাছ থেকে আয়কর আদায় করতে ন্যূনতম করের প্রস্তাব থাকছে। অন্যদিকে ধনীদের ছাড় দিয়ে নিম্নআয়ের মানুষকে করজালের মধ্যে আনার ছক থাকছে বাজেটে।

শূন্য আয় (করযোগ্য সীমার নিচে বার্ষিক আয়) দেখিয়ে আগে রিটার্ন জমা দেওয়া গেলেও আগামী দিনে স্লিপ (প্রাপ্তিস্বীকারপত্র) পেতে বছরে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। আর রিটার্ন জমার স্লিপ না নিলে সঞ্চয়পত্র কেনা এবং ব্যাংক ঋণ নেওয়া যাবে না। ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস নবায়ন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, বাড়ির নকশা অনুমোদনসহ সব মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ৪৪ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে না।

জনপ্রিয়