ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

আমদানির ঘোষণার পর এক রাতেই কমল পেঁয়াজের দাম

অর্থনীতি

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ৫ জুন ২০২৩

সর্বশেষ

আমদানির ঘোষণার পর এক রাতেই কমল পেঁয়াজের দাম

দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ায় সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখে। তবে পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও শুধুমাত্র আমদানি বন্ধের অজুহাতে কয়েক মাস ধরে এ পণ্যটির বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। দুয়েক মাসের ব্যবধানে আড়াই থেকে তিনগুণ বেড়ে যায় দাম। বিভিন্ন বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তর এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানেও পণ্যটির দামের লাগাম টানা যায়নি।

অবশেষে রোববার (৪ জুন) বিকেলে সরকার পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয়। আমদানি শুরু না হলেও কেবল ঘোষণার কারণেই প্রায় অর্ধেক কমে গেছে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম।

সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, এ সময়ের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বাড়া-কমা থেকে বোঝা যায় একটি সিন্ডিকেটের যোগসাজশে পণ্যটির দাম বেড়ে গিয়েছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনি ও রোববার দেশের অন্যতম বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ে পেঁয়াজের দাম ছিল মানভেদে কেজিপ্রতি ৯০ থেকে ১০০ টাকা। রোববার বিকেলে কৃষি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। এতে সোমবার সকাল থেকে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। আজ পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

এর আগে, গত ২১ মে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় খাতুনগঞ্জ বাজারে অভিযান চালায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযানে দেখা যায়, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগী একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। যারা পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অনেকাংশে দায়ী। বাজারে ডিমান্ড অর্ডারের (ডিও) মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি ক্রয় রসিদই বিক্রি হয় ১০ জনের কাছে। ওইসময় বিভিন্ন ট্রেডিংয়ের দোকান থেকে ৬শ’র বেশি মধ্যস্বত্বভোগীর নাম এবং মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয়। যাদের মাধ্যমে হাত বদল হয়ে পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। যদিও ওই অভিযানের পরও কমেনি পণ্যের দাম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। গত অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ টন। এ হিসেবে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ায় ১৫ মার্চ থেকে আমদানি বন্ধ রাখে সরকার। চাহিদার পুরোটা মেটানো হয় দেশি পেঁয়াজ দিয়ে। তবে সরবরাহ ও মজুত ঠিক থাকলেও আমদানি বন্ধের অজুহাতে দিন দিন বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। এমতাবস্থায় নাভিশ্বাস ওঠে ভোক্তাদের। একপর্যায়ে সরকার পণ্যটি আমদানির অনুমতি দেয়। 

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা আগে থেকে বলেছিলাম আমদানিকারকদের একটি সিন্ডিকেট দাম বৃদ্ধির কারসাজিতে জড়িত থাকতে পারে। সেটিই মনে হয় সত্য হলো। কারণ আমদানির পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। শুধুমাত্র অনুমতিতেই দাম কমে গেল। এতে পরিষ্কার বোঝা যায়- সিন্ডিকেটের কারণে দাম বেড়েছিল।

চাক্তাইয়ের আফরা ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আলাউদ্দিন আলো ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে ভালো মানের অর্থাৎ বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় এবং ছোট সাইজের বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকায়। ক্রেতাও তেমন নেই।

জনপ্রিয়