ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে

শিক্ষা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:২০, ২৮ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে

জালিয়াতি করে পদোন্নতি বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একজন শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তার বার্ষিক-গোপনীয়-অনুবেদন (এসিআর) পরীক্ষা না করেই তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

পদোন্নতি পাওয়া ওই শিক্ষক বর্তমানে নোয়াখালী সরকারি কলেজে ইংরেজি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। 

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বিএনপি-জামাত জোট আমলে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাকেও সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। তখন তিনি নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন। ওই কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আকতারী বেগম জানান, জালিয়াতিতে অভিযুক্ত শিক্ষক তার সাবেক সহকর্মী। তিনি তার কাছ থেকে ২০১৮ ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের এসিআর নেননি। কিন্তু তার পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে হুমায়ুন কবির বলেন, এসব আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এসিআর জমা দেয়া আমার দায়িত্ব নয়, এটা উপাধ্যক্ষ ও প্রিন্সিপালের দায়িত্ব। আমি আমার এসিআর ফর্ম তৎকালীন উপাধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তিনি এসিআর অধ্যক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন কিনা আমি জানি না।

প্রসঙ্গত, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য তার এসিআর চেক করা আবশ্যক।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রফেসর আকতারী বেগম ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুলাই পর্যন্ত ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এসিআর শাখায় কর্মরত শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এসিআর ছাড়া পদোন্নতি দেয়ার নিয়ম নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন, কোনো অফিসার যদি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকেন, অধ্যয়ন ছুটিতে থাকেন, লিয়েনে থাকেন বা কোনো মামলার সম্মুখীন হন, তাহলে তার এসিআর জমা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। কেউ এসিআর জমা না দিলে, কিংবা তার এসিআর লুকিয়ে রাখলে তার পদোন্নতি বৈধ নয়। একজন কর্মকর্তাকে তার তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তার কাছ থেকেই এসিআর নিতে হবে। এই নিয়মের অন্য কোনো বিকল্প নেই।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী বলেন, এসিআর ছাড়া পদোন্নতি দেয়ার কোনো কারণ নেই। এসিআর যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি কমিটি রয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে পদোন্নতির একটি তালিকা তৈরি করা হয়। পরে কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়। মাউশি অধিদপ্তর শিক্ষা ক্যাডারের এসিআরের বিষয়টি দেখাশোনা করে।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের নির্দেশে উপসচিব মোঃ শাহীনুর ইসলাম গত ১৯ মার্চ এই জালিয়াতি সংক্রান্ত একটি লিখিত নির্দেশ দেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

লিখিত আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালককে নোয়াখালী সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সচিবালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এসিআর জালিয়াতির অপকর্মে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকেই শাস্তির আওতায় আনার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন সচিব। 

জনপ্রিয়