ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

জন্মের পর তাঁর মুখই দেখেননি মা-বাবা! 

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ২২ মে ২০২৩

সর্বশেষ

জন্মের পর তাঁর মুখই দেখেননি মা-বাবা! 

ছোট পর্দায় দীর্ঘ দিন কাজ করার পর এ বার বড় পর্দাতেও নিজের জায়গা পোক্ত করছেন অভিনেত্রী করিশ্মা তন্না। তাঁর সাফল্যে কি গর্ব বোধ করেন তাঁর মা-বাবা?

টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি, রিয়্যালিটি অনুষ্ঠানেরও পরিচিত মুখ। ছোট পর্দায় দীর্ঘ দিন কাজ করার পর এ বার বড় পর্দাতেও নিজের জায়গা পোক্ত করার পথে অভিনেত্রী করিশ্মা তন্না। হনসল মেহতার মতো নামী পরি়চালকের সঙ্গেও কাজ করছেন করিশ্মা। তবে, তাঁর সাফল্যের প্রভাব পড়েনি তাঁর মা-বাবার উপরে। ছোট থেকেই নাকি তাঁকে নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন তাঁর মা-বাবা। গর্ব করা তো দূরের কথা, শৈশবে নাকি তাঁর মুখ দেখতেও চাইতেন না তাঁরা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ছোটবেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী করিশ্মা তন্না। তিনি বলেন, ‘‘আমার যখন জন্ম হয়েছিল, তখন আমার মা এক সপ্তাহ আমার মুখ দেখেননি। আমার বাবা প্রায় এক মাস আমাকে দেখতে হাসপাতালে আসেননি। কারণ, তিনি পুত্রসন্তান চেয়েছিলেন।’’ অভিনেত্রী জানান, আর পাঁচটা গুজরাতি পরিবারের মতো তাঁর পরিবারেও সব সদস্যই পুত্রসন্তান চাইতেন। করিশ্মা বলেন, ‘‘আমি যখন মোটামুটি বড় হয়ে গিয়েছি, তখন আমার মা আমাকে জানিয়েছিলেন যে আমার জন্মের পরে বাবা একদম খুশি হননি। তাঁরা ভাবতেন, এক জন ছেলেই বংশের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, বেশি রোজগার করবে, বেশি সম্মান অর্জন করবে। আমার মায়ের দুই কন্যাসন্তান। আমার ঠাকুরদা-ঠাকুরমা আমাদের কখনও আপনজনের মতো দেখতেন না।

এ কথা জানার পরে মন ভেঙে গিয়েছিল করিশ্মার। শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানান অভিনেত্রী। করিশ্মার কথায়, ‘‘এমন নয় যে, আমার বাবা আমাকে ভালবাসেন না। তাঁর দ্বিতীয় সন্তানও এক জন মেয়ে, তাই তাঁর উপরেও পরিবারের অনেক চাপ ছিল। তাই জন্যই তিনি আমাকে দেখতে আসেননি।’’ করিশ্মা জানান, এই ঘটনার জেরে কষ্ট পেয়েছিলেন তাঁর বাবাও। তবে বড় হয়ে বাবার পুত্রসন্তানের অভাব মেটানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী। এখনও পর্যন্ত সেই চেষ্টাই অব্যাহত, জানান করিশ্মা।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

জনপ্রিয়