
কোমল, দাগহীন, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য দরকার স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। সকালের কিছু অভ্যেস আপনার ত্বককে আরও সুন্দর করে তুলতে পারে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমন্ত ত্বককেও জাগিয়ে তুলতে হবে। মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে সবার আগে। এতে আপনার ত্বকে থাকা অতিরিক্ত তেল, মৃত কোষ চলে যাবে। ত্বক পরিষ্কার করলে আপনি নিজেও চাঙা অনুভব করবেন।
প্রতিদিন সকালে কোন কোন অভ্যাসগুলো আপনার ত্বকের জন্য লাভবান। চলুন জেনে নিই সে সম্পর্কে-
পানি পান করুন
সকাল শুরু করুন এক গ্লাস পানি পান করে। ঘুম থেকে ওঠার পরই শরীরকে হাইড্রেট করার জন্য এক গ্লাস পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। যদি আরও ভালো ফল পেতে চান, তাহলে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে ঈষদুষ্ণ পানিতে লেবু ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায।
ফেসওয়াশ
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সকালে মুখ পরিষ্কার করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ কোনও ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা বা টি ট্রি ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা দরকার। হালকা ক্লিনজারও ব্যবহার করতে পারেন।
টোনার
ফেসওয়াশ ব্যবহারের পর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ অ্যালকোহল ফ্রি টোনার ব্যবহার করলে উপকার মেলে। ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে ও স্বাস্থ্যকর তৈরি করতে টোনার ব্যবহার করুন।
ময়েশ্চারাইজার
ক্নিনজিং ও টোনিংয়ের পর ত্বককে কোমল ও ময়েশ্চার রাখতে পছন্দের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন, ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
সানস্ক্রিন
বাড়ির বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগানো উচিত। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে ও ত্বকের মধ্যে লাবণ্য বজার রাখতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
শরীরচর্চা
সুস্থ ও ফিট থাকতে প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চার অভ্যাস থাকা উচিত। শুধু শরীর নয়, ত্বককে সুস্থ রাখতেও দরকার নিয়মিত এক্সারসাইজের অভ্যাস। ত্বকে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ও শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে প্রতিদিন সকালে অন্তত ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করুন।
ব্রেকফাস্ট
সকালে উঠে যত তাড়াই থাকুক না কেন, ব্রেকফাস্ট স্কিপ করা যাবে না। ব্যস্ততম জীবনে অনেকেই ব্রেকফাস্ট বাদ দিয়ে কাজে বেরিয়ে পড়েন। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকরও বটে। ব্রেকফাস্টে না খাওয়া অভ্যাস হলে আজ থেকেই এই অভ্যাসে বদল আনুন। শরীর ও ত্বকের পরিচর্চার জন্য সকালের খাবার অত্যন্ত পুষ্টিকর খাওয়া উচিত।
সূত্র: বোল্ড স্কাই