
বিএনপির জন্য দিনের আলো নিষিদ্ধ। দলের নেতা–কর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। তাঁদের সব সময় কারাগারে থাকতে হচ্ছে। বিএনপির নেতা–কর্মীদেরকে কারাগারে ঢোকানোর সরকারের এ কর্মসূচি যেন শেষই হচ্ছে না। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতা–কর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত ‘বিএনপির সব রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির’ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্যকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডামি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতা–কর্মী প্রায় চার মাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতা–কর্মী এখনো কারাগারে রয়েছেন।
কারাগারে রাজবন্দি কেউ নেই, যাঁরা আছেন, তাঁরা বিএনপির কর্মী—সরকারের মন্ত্রীদের এমন বক্তব্যের উল্লেখ করে রিজভী বলেন, রাজবন্দি নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যাঁরা করেন, তাঁদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢোকানো হয়। উপমহাদেশে এ রকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছেন, সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী, তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগে বিরোধীদের কারাগারে নেয়।
জিয়া প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী, সম্পাদক শামিমুর রহমান শামীম প্রমুখ।