
চট্টগ্রাম বন্দর ও বিদেশি বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বাংলাদেশকে ‘গ্লোবাল ফ্যাক্টরি’ হিসেবে গড়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লুতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিই প্রধান উপদেষ্টার মূল লক্ষ্য।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. আশিক চৌধুরী।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ড. ইউনূস চট্টগ্রাম পোর্ট নিয়ে ২০০৭-০৮ সাল থেকে অনেকদিন ধরে লিখছেন। আমি উনাকে নয় মাসে যা দেখেছি, তাতে একটা জিনিস বলতে পারি, উনার চেয়ে প্রো-বিজনেস হেড অফ গভর্মেন্ট আসেনি।
তিনি বলেন, আমরা যখন দাভোসে গিয়েছি, উনি একদিনে ২৩টি মিটিং করেছেন। ওনার মূল ফোকাস, কীভাবে বাংলাদেশে বিজনেস আনা যায়। ওনার মূল লক্ষ্য, বাংলাদেশে কীভাবে বিজনেস ও কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়।
তিনি আরও বলেন, 'উনি নিউইয়র্কে গিয়েছেন, চারদিনে ৫১টি মিটিং করেছেন। আমি যেখানে দেখেছি, প্রফেসর ইউনূস বড় বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যারা বাংলাদেশে ইনভেস্ট করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। উনার চিন্তা হচ্ছে, কীভাবে বাংলাদেশের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আনা যায়।'
প্রেস সচিব বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলজুড়ে সবাই চলে যাচ্ছে বিদেশে। যারা এখানে একটা কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে। বিদেশে চাকরি ছাড়া কেউ থাকছে না। আমরা চাই, তারা যে টাকাটা বেশি বেশি ইনকাম করে, তারা এখানে বসে করুক।
তিনি আরও বলেন, উনি যত মিটিং করেছেন, এর মধ্যে দুই ডজন মিটিংয়ে উনাকে বিদেশিরা বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, না হলে বড় বিনিয়োগ আসবে না। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে উনার অনেক বড় স্বপ্ন।
শফিকুল আলম বলেন, আমার এখানে কথা বলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অনেকের ভুল তথ্য দেখছি। চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি অপারেটরকে দিলে অনেকে বলছেন, জব চলে যাবে। আমি বলছি, জব যাবে না, বরং আরও ১০ গুণ বাড়বে। যে যেখানে জব করছেন, তার চেয়ে আরও দশ গুণ জব বাড়বে।