ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস ফয়সাল হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকার মোহাম্মদপুরে ইমরুল কায়েস ফয়সাল নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় গত ৩০ অক্টোবর তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে নওগাঁ-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম।
শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করা হয়। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাবিধি অনুযায়ী সাবেক এই মন্ত্রীকে চিকিৎসা দেয়ারও আদেশ দেয়া হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছেন বলে সাধন চন্দ্র মৌখিকভাবে স্বীকার করেছেন। তবে তিনি একেক সময় একেক ধরনের কথা বলছেন। আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা বললেও তিনি তা কৌশলে এড়িয়ে গেছেন এবং জবানবন্দি দিতে অনিচ্ছা পোষণ করেছেন। পাশাপাশি সাধন চন্দ্রের নাম ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলেও আবেদনে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
সেখানে আরো বলা হয়, আসামি এজাহারে বর্নিত সহিংস ঘটনার বিষয়ে এবং মামলার ভিকটিমকে হত্যার চেষ্টার ঘটনার বিষয়ে জানতেন। তিনি এই ঘটনায় পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়াসহ মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে মামলার তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
গত ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সাধন চন্দ্রকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। পরদিন ৪ অক্টোবর ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রমিজ উদ্দিন আহমেদ রূপকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ইমরুল কায়েস ফয়সাল। তিনি সুস্থ হওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।