
ইশরাক হোসেনের মেয়র হওয়া না হওয়া–এই বিষয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকায় আইনি জটিলতা রয়েছে।
ফলে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা বা দোষারোপ করাটা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।সাভারে যুব সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “আইনি জটিলতা আছে এবং বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। এখানে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কোনো লাভ নেই।
আদালতের মাধ্যমে আইনি লড়াই লড়তে হবে। ইতোমধ্যে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতামত চেয়েছি। যেহেতু আইন মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ, তাদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা হয়তো একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।”
উল্লেখ্য, সোমবার নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় আবারও ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এই প্রেক্ষাপটে দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সেখানে তিনি বলেন, “যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে গায়ের জোরে দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যেই নগর ভবন বন্ধ রেখে মহানগর বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।”
এরপরই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পাল্টা পোস্ট দেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। সেখানে তিনি লেখেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু কিছু সদস্যের মনে ক্ষমতার লোভ বাসা বেঁধেছে। যারা নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়ে একটি দলের প্রতিনিধির মতো আচরণ করছেন, তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।”