
প্রধান উপদে মোহাম্মদ ইউনুস পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাদের নেতাদের ডেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান তারা সংযত না হলে তিনি সব ছেড়ে চলে যাবেন।
তবে এর আগেও কেবিনে নিজের পদত্যাগের বিষয় নিয়ে কথা তুলেছেন বলে একাধিক গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগ’ হুমকির বিষয়টি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই ছাত্র উপদেষ্ঠা অসিম মাহমুদ সজিব ভূইয়া ও মাহফুল আলম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহবায়ক নাহিদ ইসলামের প্রধান উপদেষ্ঠার সাথে জরুরী সাক্ষাতের পর গুঞ্জন আরো জোড়ালো হয়।
কোন কোন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়া ছাড়া এই মূহূর্তে প্রধান উপদেষ্টার হাতে একটি মাত্র উপায় হচ্ছে পদত্যাগ করা। তার কাছে বিকল্প খুমই কম বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের মৌলিক কয়েকটি বিষয়ে স্পষ্ট মতপার্থকের বিষয় গত কয়েক মাসে জনসন্মুখে চলে এসেছে।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুল আলম বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে বলেন- ‘আগেকার যেকোনো বক্তব্য ও শব্দচয়ন, যা বিভাজনমূলক ছিল- সেগুলোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত’—পদত্যাগের দাবির মুখে এ কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘সরকারে আর একদিনও থাকলে অভ্যুত্থানের সব শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করতে চাই।’
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সক্ষাৎ করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সাক্ষাতে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে ড. ইউনূস দুই ছাত্র উপদেষ্টাকেও ডেকে সংযত না হলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এ সময় তারা সংযত হবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও পদত্যাগে নিজের ইচ্ছের কথা জানান। তবে উপস্থিত উপদেষ্টারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন সরকারপ্রধানকে।