ঢাকা শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

অক্সফোর্ডের ‘আজীবন সম্মাননা ফেলোশিপ’ পাওয়ায় প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ২৯ মে ২০২৫

সর্বশেষ

অক্সফোর্ডের ‘আজীবন সম্মাননা ফেলোশিপ’ পাওয়ায় প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা

আইন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার রক্ষায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াডাম কলেজ থেকে ‘আজীবন সম্মাননা ফেলোশিপ’ পেয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এজন্য তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সাথে তিনি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের বিশেষ ভাবে স্মরণ করেন।

এসময় তিনি বিচারবিভাগ সংষ্কার নিয়ে ঘোষিত নিজের রোড ম্যাপের বিষয় উল্লেখ করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের চলমান কার্যকারিতার বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের পৃথক সচিবালয় গঠন সহ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সেই সাথে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও প্রধান বিচারপতির যে কোন পদক্ষেপে আইনজীবী সমিতি তার পাশে আছে বলে সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রতিশ্রুতি ব্যক্তি করেন।

[inside-ad-2] এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলনের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার রক্ষায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াডাম কলেজ থেকে “আজীবন সম্মাননা ফেলোশীপ” পান বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলামের দেয়া এসংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ এই আজীবন সম্মাননা ফেলোশীপ (Honorary Fellowship for life) প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তার এই বিরল অর্জনে অত্যন্ত গর্বিত। সেই সাথে এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের বিচার বিভাগের জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত। এই বিরল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কেবলমাত্র প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত সাফল্যের স্মারক নয়। বরং এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতি বৈশ্বিক পর্যায়ে যে সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শিত হচ্ছে তার প্রতিফলন ও পরিচায়ক।[inside-ad-1] নিঃসন্দেহে এই সম্মান বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উৎকৃষ্টতা, বুদ্ধিবৃত্তিক দৃঢ়তা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের স্বীকৃতির একটি নিদর্শন।বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মাননীয় প্রধান বিচারপতির এই অনন্য স্বীকৃতির জন্য তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার নিরলস অবদানের জন্য গর্ব অনুভব করছে।’

উল্লেখ্য যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেফাত আহমেদ বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াডাম কলেজ থেকেই এক সময় প্রথম শ্রেণিতে আইন শাস্ত্রের ডিগ্রি পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে মাস্টার্স ও পিএইচডি করেন যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসিতে। সৈয়দ রেফাত আহমেদ অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করেছেন।

সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা জেলা আদালতে এবং ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে হাই কোর্ট বিভাগে আইনজীবী হন। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ এপ্রিল তিনি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হন। এর দুই বছর পর তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন। গত বছরের ১১ মার্চ দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

[inside-ad-1] সৈয়দ রেফাত আহমেদ বাংলাদেশের প্রথিতযশা আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ ও ড. সুফিয়া আহমেদের ছেলে। ভাষা সৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. সুফিয়া আহমেদ বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন।

জনপ্রিয়